বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৯:১৯ অপরাহ্ন

কিশোরগঞ্জের হাওরের পাশাপাশি উজান এলাকাতেও পানি ঢুকছে

কিশোরগঞ্জের হাওরের পাশাপাশি উজান এলাকাতেও পানি ঢুকছে

আমিনুল হক সাদী,কিশোরগঞ্জঃ

কিশোরগঞ্জের হাওরের কয়েক উপজেলার মানুষ পানিবন্দীর পাশাপাশি জেলার উজান এলাকাতেও পানিবন্ধী রয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে বন্যার কারণে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ ও ইটনা হাওরের ১৫টি গ্রামের বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ ১৫টি গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ১০ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রয়েছে। পানি কমে গেলেই আবার বিদ্যুৎ লাইন চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
শুক্রবার রাতে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টাতেই কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলাগুলোর অন্তত ৪০টি ইউনিয়নের ৩০ শতাংশ বাড়ি-ঘরে পানি উঠে গেছে। প্লাবিত হয়েছ রাস্তাঘাট। জেলার হাওর অধ্যুষিত ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও করিমগঞ্জ উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকার পাশাপাশি সদর উপজেলার দানাপাটুলি ইউনিয়নে পানি বিপদসীমার ওপরে থাকায় আতংকে রয়েছেন মানুষ।
দানাপাটুলি ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা পানিবন্দী ইমরুল হাসান তার ফেসবুকে লিখেন, ইয়া আল্লাহ আমাদের হাজীপুর কালিয়ারকান্দা যোগাযোগের রাস্তা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে,আমরা বর্তমানে কোথাও যাতায়াত করতে পারছিনা,হাট বাজার করার মতো কোন সুযোগ নেই। মানুষের খাবার গৃহপালিত পশুর খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিক্ষা ছাত্র ছাত্রীদের যাওয়ার জন্য কোন যানবাহন নেই,কি ভাবে কি হবে আল্লাহ তুমি সবজান।দয়া করে অতিতাড়াতাড়ি এই বন্যার কবল থেকে সকল কে হেফাজত করো আল্লাহ।
দানাপাটুলির বাসিন্দা বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক বলেন, আমাদের গ্রামে পানি ওঠায় আতংকে রয়েছে গ্রামবাসী।
দানাপাটুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ মিয়া জানান, আমাদের দানাপাটুলি ইউনিয়নের, হাজীপুর, কালিয়ারকান্দা,চতুরকান্দা,মহিষবেড়, চাদের হাসি গ্রামের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana