শুক্রবার, ০৯ Jun ২০২৩, ০৩:০০ অপরাহ্ন

ভৈরবে গর্ভবতী নারীকে মারধোরে শিশুর মৃত্যু ॥ আদালতে মামলা

ভৈরবে গর্ভবতী নারীকে মারধোরে শিশুর মৃত্যু ॥ আদালতে মামলা

এম.এ হালিম, বার্তাসম্পাদক:

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গর্ভবতী নারী তামান্নাকে মারধোরে ও তার অনাগত শিশুর মৃত্যুর অভিযোগে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। শুধু ওই নারীকে মারধোরই নয়; এর আগে তার স্বামী পায়েল মিয়াকে মারধোর করে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে বলে আদালতে পৃথক মামলা দায়ের করেছে। আদালত মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে ভৈরব থানাকে। ঘটনাটি ঘটেছে শহরের আমলাপাড়া গ্রামে একটি ভাড়া বাড়িতে।
মামলা ও অভিযোগ পত্রে জানাযায়, গত ২৩ মে দুপর দেড়টার দিকে আমলাপাড়া অবদার মোড় কাঞ্চন মিয়ার ভাড়া বাড়িতে মিলন মিয়া ও তার পুত্র অলি মিয়া সহ কয়েকজন এসে ভাড়া টিয়া পায়েলকে অপহরনে বাধাঁ দিলে তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী মারধোর করে পায়েলের হাত-পা ভেঙে দেয় এবং তার স্ত্রী তামান্নাকে ও মারধোর করে। পরে মিলন মিয়া, পায়েলকে তার বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে চাদাঁ দাবি করে। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ এসে পায়েলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ২৫ মে কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মিলন মিয়াসহ কয়েকজনকে আসামি করে পায়েলের পরিবার ১টি মামলা দায়ের করে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ভৈরব থানাকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ২৯ মে মিলন মিয়া ও তার লোকজন ২৯ মে পুনরায় গর্ভবতী নারী তামান্নাকে মারধোর করে আহত করে। পরে হাসপাতালে নিলে ডাক্তারী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় চিকিৎসকরা জানান মারধোরের কারনে তার অনাগত সন্তানের ক্ষতি হয়েছে। পরদিন সকালে হাসপাতালে চিকিৎসায় তামান্না মৃত সন্তান প্রসব করে শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরের দিন ৩১ মে তামান্না বাদী হয়ে মিলনসহ ৪ জনের নাম উল্ল্যেখ করে তাকে মারধোর করায় গর্ভের সন্তান মারা গেছে অভিযোগ এনে মিলন মিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। আদালত আভিযোগপত্রটি আমলে নিয়ে রোববার পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার আইনজীবি এ্যাডঃ নুর মোহাম্মদ জানান, স্বামীকে মারধোর করে আটকিয়ে চাদাঁ দাবি এবং গর্ভবতী নারীকে মারধোরে মৃত সন্তান প্রসব করায় আদালতে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রথম মামলাটি ভৈরব থানাকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত এবং মৃত সন্তান প্রসবের মামলাটি পিবিআই কিশোরগঞ্জ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী তামান্না জানান, মামলা করার পর মামলা তুলে নিতে আসামি পক্ষ নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তারা এখন আতঙ্কে আছেন। তাই সে এবং তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চায়।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন পুলিশ সুপার মোঃ সাহাদাত হোসেন জানান, আদালতে করা পিটিশন মামলার ডকুমেন্ট তার হাতে এখনো পৌঁছায়নি। ডকুমেন্ট পেলে পরবর্তীতে তিনি জানতে পারবেন।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana