শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন

আজকের সম্মেলন মহাসম্মেলনে পরিণত হয়েছে : কিশোরগঞ্জে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক

আজকের সম্মেলন মহাসম্মেলনে পরিণত হয়েছে : কিশোরগঞ্জে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক

ইমরান হোসেন, কিশোরগঞ্জ:

কিশোরগঞ্জে দীর্ঘ ২৫ বছর পর আজকের সম্মেলন মহাসম্মেলনে পরিণত হয়েছে। আজকের সম্মেলনের মাধ্যমে আগামী দিনের নীতি নির্ধারকরা নতুন করে পথ শুরু করবে। এতে শুধু আওয়ামীলীগ নয়; পুরো জাতি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতি আস্থা আসবে। আজ বুধবার (২৫ মে) বিকেলে কিশোরগঞ্জ শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক নিবাচিত হয়েছেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সাত্তার।
কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক তিনি বলেন, করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের পরও বাংলাদেশের একজন মানুষ না খেয়ে মারা যায়নি এবং মুদ্রাও স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফের অর্থনীতিবিদরা তাদের আলোচনার রিভিউতে বলেছেন- পৃথিবীতে যদি তিনটা-চারটা দেশের অর্থনীতি সঠিক থাকে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। ভারত, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ সকল দেশের চেয়ে বাংলাদেশের মুদ্রা একমাত্র স্থিতিশীল।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের এমন উন্নয়ন দেখেও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রাজাকার-আলবদর ও স্বাধীনতাবিরোধীরা নানা রকম কুৎসা রটাচ্ছে। নানা রকম মিথ্যাচার করছে। তাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে এই যেন বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাচ্ছে।’ ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন কর্মসূচি দিয়েছেন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে। নিজের টাকায় পদ্মা সেতু। প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকায় এই পদ্মা সেতু হয়েছে। যারা বলেছিল পদ্মা সেতু হলে বাংলাদেশ টিকে থাকবে না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের টাকায় পদ্মা সেতু হয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মো. আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এম এ আফজল।
এতে অন্যান্যের মাঝে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামছুন্নাহার চাঁপা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকী এমপি, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম রিয়াজুল কবির কাউছার, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, আলহাজ্ব মো. আফজাল হোসেন এমপি, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি, ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বাদল রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট জিল্লুর রহমান। এতে সভাপতি পদে ১৩জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৯জন প্রার্থী হন। তাদের মধ্য থেকে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে আলোচনা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন মির্জা আজম এমপি।
দীর্ঘ ২৫ বছর পর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। এতে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড এবং ১১টি ইউনিয়ন থেকে খ- খ- মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সম্মেলনে যোগ দেন। নেতাকর্মীদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সম্মেলনস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana