শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫৬ অপরাহ্ন
হোসেনপুর প্রতিনিধি :
‘হুইলচেয়ারের বদলে প্রতিবন্ধী শিশু রমজানের ঠাঁই এখন বালতিতে’ শিরোনামে ‘একুশে টাইমস্’ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবন্ধী রমজান পেল হুইল চেয়ার। সোমবার(১১ এপ্রিল) সকালে প্রতিবন্ধী রমজানকে কিশোরগঞ্জ প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের সহায়তায় হুইল চেয়ার প্রদান করেন উপজেলা প্রশাসন।
জানাযায়, জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী তার বয়স ৪ বছর ১১ মাস। তার সমবয়সী অন্য সব শিশুরা দৌড়ঝাঁপ করে খেলাধুলায় মত্ত। কিন্তু রমজানের দিন কাটে বালতিতে বসে। জন্মের পর থেকে হাঁটতে পারে না রমজান। মা-বাবা কাজের ফাঁকে রমজানকে কোলে করে ঘোরাফেরা করে। কিন্তু কাজের সময় তাকে একটি হুইল চেয়ারের অভাবে বালতিতে বসিয়ে রেখে তারা কাজ করে।
প্রতিবন্ধী রমজান কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ধুলজুরী গ্রামের দুদু মিয়া ও জেসমিন দম্পতির সন্তান। এ দম্পতির ঘরে চার বছর আগে জন্ম নেয় একটি পুত্র সন্তান। আদর করে তার নাম রাখা হয় রমজান। সে জন্মের পর থেকেই বাবা-মার কোলে বড় হয়। তার পিতা দুদু মিয়া ভাড়া করা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে কোনোরকম দিনাতিপাত করলেও ছেলের জন্য একটি হুইল চেয়ার কেনার সামর্থ্য তার নেই। বিষয়টি নিয়ে ফেইসবুক (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম)সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার তাকে একটি হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া পারভেজ, সমাজ সেবা কর্মকর্তা এছানুল হক, কিশোরগঞ্জ সমাজসেবা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা মিঠুন চক্রবর্তী, মুক্তিযোদ্ধা মো: মুঞ্জু মিয়া প্রমূখ।
হুইল চেয়ার পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে রমজানের মা জেসমির বলেন, ‘আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুক। আমার প্রতিবন্ধী ছেলেটাকে আর বালতিতে বসে দিন কাটাতে হবে না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া পারভেজ জানান, রমজানের পিতা আগে কখনো হইল চেয়ারের জন্য আবেদন করেন নি। এ বিষয়ে প্রকাশিত নিউজটি আমাদের নজরে আসার পর পরই তাকে হুইল চেয়ার দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল বুধবার জাতীয় দৈনিক ‘একুশে টাইমস্’সহ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবন্ধী শিশু রমজানকে নিয়ে নিউজ প্রকাশিত হলে তা উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। তিনি আরো বলেন, এ ধরণের কোন প্রতিবন্ধী যেন হুইল চেয়ার ব্যতীত জীবন কাটাতে না হয়। সেদিকে আমাদের নজর থাকবে।