রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩০ অপরাহ্ন

চাদাঁবাজি বন্ধে ভৈরবে হাইওয়ে পুলিশের সাড়াঁশি অভিযান ॥ ৯ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়

চাদাঁবাজি বন্ধে ভৈরবে হাইওয়ে পুলিশের সাড়াঁশি অভিযান ॥ ৯ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়

এম.এ হালিম, বার্তাসম্পাদক :

ঈদকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের ভৈরব মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহনসহ অন্যান্য যানবাহনে চাদাঁবাজি বন্ধে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ সাড়াঁশি অভিযান শুরু করেছে। পণ্যবাহী ট্রাক বা যে কোন ধরনের পরিবহনে চাদাঁবাজি বন্ধে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে ভৈরব থেকে কুলিয়ারচরের আগরপুর পর্যন্ত এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মরজাল পর্যন্ত মহাসড়কে চাদাবাজিঁ বন্ধে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা বিভিন্ন পণ্যবাহি পরিবহনসহ অন্যান্য যানবাহনে চাদাঁবাজিবন্ধে সাড়াশিঁ অভিযানে নেমেছে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ।এছাড়া মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, অবৈধ যানবাহন ও হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানো সহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রেবাস, মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে ৩শ ১৬টি মামলা রুজু করে ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫শ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে হাইওয়ে থানা পুলিশ।
তবে পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ও সহকারি চালকরা এ অভিযানে সন্তোষ্ট প্রকাশ করেছেন। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ভৈরবগামী পণ্যপরিবহন ট্রাকের চালক ইব্রাহিম মিয়া জানান, ‘আগে পথে পথে বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাদাঁ দিতে হতো। কিন্ত আজ ভৈরবে আসার পথে কেউ চাদাঁ চাইনি বিষয়টা কেমন যেন অবাক লাগছে। সব সময় যদি এভাবে রুটে গাড়ী চালাতে পারতাম তাহলে অনেক ভালো থাকতে পারতাম।’
পিকআপভ্যান চালক সেলিম মিয়ার সাথে কথা হয় ভৈরব দূর্জয় মোড়ে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘স্যার রুটে গাড়ি চালাতে প্রতিদিন ৩/৪শ টাকা চাদাঁ দিতে হয়। তবে কেন এ চাদাঁর টাকা দিতে হবে ? আমরা তো বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সে গাড়ি চালাই, গাড়ির কাগজ পত্র ঠিক আছে। তারপর ও বিভিন্ন নামে-বেনামে চাদাঁ দিতে হয়েছে। আজ কোন চাদাঁ দিতে হয়নি। মনডা খুব ভালো লাগতাছে। বাংলাদেশটা যদি এমন হতো। তাহলে কত সুন্দর হতো।’
এ বিষয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেন জানান, মহাসড়কে পণ্যবাহি বা যে কোন ধরনের যানবাহনে কোন প্রকার চাদাঁবাজি করতে কাউকে দেবনা। আমরা হাইওয়ে পুলিশ চাদাঁবাজি বন্ধে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা কাজ করছি। কেউ যদি চাদাঁবাজি করে আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে আমরা আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিবো। এছাড়া বেপরোয়া গতিতে যাতে কোন চালক গাড়ি চালাতে না পারে কোন প্রকার দূর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য সড়কে স্পীড গান ব্যবহার করা হচ্ছে। বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালালে স্পীড গানের মাধ্যমে সনাক্ত করে মামলা ও জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। গত মাসে আমার নিয়ন্ত্রণাধীন মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, অবৈধ যানবাহন ও হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানো সহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রেবাস, মোটরসাইকেলও সিএনজির বিরুদ্ধে ৩শ ১৬টি মামলা রুজু করে ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫শ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে ও আগামী দিনগুলিতেও থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana