শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
দর্পণ ঘোষ কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে ধরে নিয়ে যৌন নির্যাতন এবং ভিডিও চিত্র ধারণের পর লোকলজ্জার ভয়ে ওই স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। চাঞ্চল্যকর শান্তার হত্যা মামলার মূলহুতা লাল মিয়াকে সোমবার রাতে কিশোরগঞ্জ সদর এলাকা থেকে সহযোগীতায় অভিযান চালিয়ে আটক করে কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশ। জানাযায়, কটিয়াদী উপজেলার আনন্দ কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী শান্তা আক্তার কে আসামীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শারীরিক হেনস্তা করে মুঠো ফোনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিলে ঐ দিনি বাসায় গিয়ে ফ্যানের সাথে উড়না পেঁচিয়ে আত্ম হত্যা করে শান্তা । এ বিষয়ে কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ এস এম শাহাদাত হোসেন জানান, আটককৃত লাল মিয়া শান্তা হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী। ইতোপূর্বে এ ঘটনার সাথে জড়িত উপজেলার নন্দীপুর গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম ইমনকে (২০) নিজ গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ছাত্রীটি এবার বনগ্রাম আনন্দ কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে অষ্টম শ্রেণি পাস করেছে। নবম শ্রেণিতে ভর্তির ফরম আনতে গত শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে স্কুলে যায় সে। এ সময় স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় বনগ্রাম গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে আকাশ মিয়া (২৫), ছিদ্দু মিয়ার ছেলে আরমান মিয়া (১৯) ও পার্শ্ববর্তী নন্দীপুর গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া (২০)। তারা ওই স্কুলছাত্রীকে স্কুলের সীমানা প্রাচীরের আড়ালে নিয়ে যায়। সেখানে একে একে তিনজন তাকে যৌন নির্যাতন করে এবং নির্যাতনের সময় মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করে। স্কুলছাত্রী চিৎকার করে একপর্যায়ে নির্যাতনকারীদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে স্কুলের শিক্ষক, স্থানীয় চেয়ারম্যান, বাজারের লোকজন এবং এলাকাবাসীকে এ ঘটনা জানিয়ে বিচায় পায়নি। এমন পরিস্থিতিতে মোবাইল ফোনে মায়ের কাছে যৌন নির্যাতন ও ভিডিও চিত্র ধারণের কথা জানায় সে। তার মা এসে স্কুল থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান। পরে দুপুর ২টার দিকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ওই স্কুলছাত্রী। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলেএলাকাবাসী ওই স্কুলছাত্রী হত্যার বিচার ও যৌন নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করে।