রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন
এম.এ হালিম, বার্তা সম্পাদক:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল, স্মৃতিচারণও পুষ্পমাল্য অর্পণ সহ নানা আয়োজনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমানের ৯ম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে সকালে দলীয় কার্যালয়ে কোরআন খতম, জিল্লুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ,কালো ব্যাজ ধারন,স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল ও কাঙালী ভোজের আয়োজন করা হয় ।
দুপুরে সরকারি কে বি পাইলট মডেল হাই স্কুল মাঠে আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ সায়দুল্লাহ মিয়ার সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি ও প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান বাচ্চু, সহ-সভাপতি মো. জাকির হোসেন কাজল, সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা সোলায়মান, পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি এস.এম বাকি বিল্লাহ, সাধারন সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ প্রমূখ। এ সময় বক্তারা বলেন জিল্লুর রহমান রাজনীতির তৃণমূল থেকে দেশের সর্বোচ্চ পদে আসীন হন। তিনি জীবনের সবটুকু সময় রাজনীতিতে’ই ব্যায় করেছেন। কিন্তু শত চেষ্টা থাকা স্বত্বেও জীবনের শেষ ইচ্ছা ভৈরবকে জেলায় উন্নিত করে যেতে পারেননি। তাই বর্তমান সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভৈরবকে জেলায় উন্নীত করে তার জীবনের শেষ ইচ্ছা পূরণ করার দাবী ভৈরববাসীর ।
উল্লেখ্য জিল্লুর রহমান কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর গ্রামে ১৯২৯ সালের মার্চ মাসে জন্মগ্রহণ করেন।তার বাবা মেহের আলী আইনজীবি ছিলেন। বাবার চাকুরী সুবাদে তিনি ময়মনসিংহের মৃত্যুঞ্জয়ী বিদ্যা নিকেতন থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। পরে ভৈরব কেবি পাইলট স্কুল থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে পরবর্তীতে ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি একাধারে ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ১৯৯৬ সালের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী, সংসদ উপনেতাসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশ স্বাধীনতার পর ভৈরব-কুলিয়ারচর থেকে ৬বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০০৯ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে শপথ গ্রহণ করেন। প্রবল ইচ্ছা থাকলেও ভৈরবকে জেলায় উন্নিত করে যেতে পারেননি। তবে একটি প্রজ্ঞাপনে ভৈরবকে প্রস্তাবিত ৬৫ তম জেলা হিসেবে ঘোষনা করেন। জিল্লুর রহমান তাঁর দায়িত্ব পালন অবস্থায় ২০১৩ সালে ১০মার্চ অসুস্থ্য হয়ে পরলে মূমূর্ষ অবস্থা সিংগাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ মার্চ বিকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে ওই সময় সরকারি ভাবে ভৈরবসহ সারা দেশে ৩ দিনের শোক পালন করা হয়।