বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩৬ অপরাহ্ন
একুশে ডেস্ক:
কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দেখিয়ে ৮২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা হয়েছে।
মামলা দুটির একটিতে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে অস্তিত্বহীন এসএ এন্টারপ্রাইজের নামে ৪২ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অপরটিতে অস্তিত্বহীন সন্দ্বীপ করপোরেশনের নামে ৪০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৫২৩ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ১৩টি মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদক সচিব মাহবুব রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রতিষ্ঠানটি থেকে ১৩০০ কোটি আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধান শেষে প্রাথমিকভাবে ৫২৩ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়। ফাস ফাইন্যান্স থেকে এন্ডবি’র নামে ৪৪ কোটি টাকা, ন্যাচার এন্টারপ্রাইজ ৪৫ কোটি, নিউট্রিক্যাল ৩০ কোটি, এসএ এন্টারপ্রাইজ ৪২ কোটি, সুখাদা ৪০ কোটি, এমটিবি মেরিন ৪০ কোটি, হাল ইন্টারন্যাশনাল ৪৫ কোটি, সন্দ্বীপ করপোরেশন ৪০ কোটি, দিয়া শিপিং ৪৪ কোটি, মুন এন্টারপ্রাইজ ৩৫ কোটি, বর্ণ ৩৮ কোটি, আরবি ৪০ কোটি ও মেরিন ট্রাস্টের নামে ৪০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫২৩ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় করা ১৩ মামলায় পিকে হালদারসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হবে। এ নিয়ে সাতটি মামলা হলো। বাকি ছয়টি মামলা শিগগিরই করা হবে।
প্রসঙ্গত, পিকে হালদার এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
পিকে সিন্ডিকেটের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দুদক এ পর্যন্ত ২২টি মামলা করেছে। অনুমোদিত ১৩টি হলে মামলা হবে ৩৫টি। মামলাগুলোতে দুই হাজার কোটি টাকার ওপর আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এসব মামলায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব মামলায় আদালত ৬৯ জনকে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এ ছাড়া ২০২১ সালের অক্টোবরে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে চার্জশিটও (অভিযোগপত্র) দেওয়া হয়েছে।