শুক্রবার, ০৯ Jun ২০২৩, ০১:৪৭ অপরাহ্ন
এম.এ হালিম, বার্তাসম্পাদক :
ভৈরবে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নদী নামে ৪ বছরের শিশুকে তুলে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিক সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক সোহেল মিয়াকে আটক করেছে। আটককৃত সোহেল পলতাকান্দা গ্রামের মৃত মজিদ মিয়ার পুত্র । নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে । নিহতের বাবা জাকির হোসেন ও তার নানা জনি মিয়াসহ পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত ৫/৬ মাস পূর্বে তারা শহরের পলতাকান্দা গ্রামে সোহেলের বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে । নিহত নদী তাদের একমাত্র সন্তান । গত কয়েকদিন ধরে সোহেল নদীর মাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। তার প্রস্তাবে নদীর মা সাড়াঁ না দেওয়ায় প্রায়ই সোহেল তার মেয়েকে উত্যক্ত করতো ও হত্যার হুমকি দিতো । মঙ্গলবার রাতে ও সোহেল কু-প্রস্তাব দেয়। এতে সে ব্যর্থ হয়ে রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে নদীকে মুড়ি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় নদীর মা তার পিছু পিছু গিয়ে মেয়েকে খোজেঁ না পেয়ে এলাকার মসজিদের মাইকে ও আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় খোজাঁখোজি করে ও না পাওয়ায় অবশেষে রাত ১২টার দিকে ভৈরব থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ এসে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পলতাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ব পাশে ময়লা-আবর্জনা ও কচুরিপানার ঝোপ থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ রেজুয়ান দিপু, ভৈরব থানার ওসি গোলাম মোস্তফা,ওসি অপারেশন ঘটঁনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার পরিদর্শক তদন্ত মোঃ তারিকুল আলম জুয়েল জানায় ধারণা করা হচ্ছে গলায় ঘামছা বা কাপড় পেচিয়ে শ্বাসরোধে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে কিভাবে মারা গেছে ।তবে শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কেউ লিখিত কোন অভিযোগ দেয়নি। ঘঁনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সোহেলকে আটক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।