সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ভৈরবে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হোসেনপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু কিছু লোক সবসময় বিরোধিতা করবেই, উলটা-পালটাও বলবে: প্রধানমন্ত্রী আরও তিন দিন ঝড়োহাওয়া বজ্রবৃষ্টির আভাস টি আর,কাবিখার টাকা গোবিন্দপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি সম্পাদকের পকেটে ভৈরবে গাঁজা ও ইয়াবাসহ ৪ মাদককারবারি গ্রেফতার কিশোরগঞ্জে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনাসভা দোয়া ও মিলাদ জারইতলা স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে বঙ্গবন্ধু উদ্যান ও কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধ নির্মানের দাবী টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বর্ণমালার যুদ্ধটি ছিল-বাঙালীর সাংস্কৃতিক যুদ্ধ

বর্ণমালার যুদ্ধটি ছিল-বাঙালীর সাংস্কৃতিক যুদ্ধ

দ্বিতীয় পর্ব:
৪ ফেব্রুয়ারি ’৫২ ধর্মঘটের পর কয়েকদিন ধরে বাঙালীরা ভেতরে ভেতরে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে লাগল। অন্য দিকে খাজা নাজিমুদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমান সাহেবরা বাঙলা হরফের জায়গায় আরবী হরফের প্রচলনের জন্য প্রচার চালিয়ে গেল। তখন সদ্য স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তানের সচিবালয় সহ সরকারি অফিস আদালতের অর্ধ শিক্ষিত কেরানী-পিয়নরা ভয় পেয়ে গেল। কিভাবে তারা আরবী হরফে অফিসিয়াল কাজ করবে। তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করল খেটে খাওয়া শ্রমিক, ঘাম ঝড়ানো কৃষক। তৈরী হলো বাংলা ভাষাকে রক্ষা করার জন্য সর্বস্তরের জনতার মঞ্চ। আর এই মঞ্চের কান্ডারি হিসেবে ভূমিকা রাখল ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’। অবশেষে চুড়ান্ত দিনে, চুড়ান্ত আঘাতের পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ছাত্র জনতা ‘বাংলা আমার রাষ্ট্রভাষা, বাংলা আমার মাতৃভাষা, আমরি-বাংলা ভাষা’ এই শ্লোগানে ঢাকার রাজপথ কাঁপিয়ে তুললো অবশেষে রফিক, শফিক, ছালাম, বরকত, জব্বার প্রমুখ ভাষা সৈনিকদের রক্ত আত্ম ত্যাগের বিনিময়ে আমরা এই বর্ণমালার যুদ্ধে জয়লাভ করলাম। আর এই ভাষা যুদ্ধের অবধারিত ফসল হলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও মহান স্বাধীনতা প্রাপ্তি। লাল সালাম ও বিনম্র শ্রদ্ধা রইল সেই বীর ভাষা শহীদদের প্রতি। আমরা তোমাদের ভুলব না।

শাফায়েত জামিল রাজীব
প্রধান সম্পাদক
একুশে টাইমস্ বিডিডটকম

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana