একুশে ডেস্ক:
সকাল ১০টা। করোনা আক্রান্ত এক রোগীকে মাগুরা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই রোগীকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশনা দেন। রোগীর স্বজনরা ভর্তি প্রক্রিয়া যখন সম্পন্ন করছে, এর মধ্যেই আরও চার-পাঁচজন রোগী চলে আসে। কাউন্টারে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহেও করোনা রোগীর চাপ কম ছিল। হাসপাতালের বেশিরভাগ শয্যা খালি থাকলেও গত দু’তিন দিন ধরে রোগীর চাপ বাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী-খুলনার পর ঢাকা, বরিশাল ও সিলেটে হাসপাতালের শয্যার ওপর রোগী ভর্তির চাপ বেশি। নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে মঙ্গলবার দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক দিনে ২৬ শতাংশ বেড়ে ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ হাজার ৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৮ হাজার ৪০৭ জনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আগের দিন সোমবার ৬ হাজার ৬৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এক দিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল সর্বশেষ গত বছরের ১৩ আগস্ট।
সেদিন ৮ হাজার ৪৬৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৪ জন। আরও ১০ জনের মৃত্যু হওয়ায় মহামারিতে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ হাজার ১৬৪ জন দাঁড়িয়েছে। কেবল রাজবাড়ী ছাড়া দেশের বাকি ৬৩ জেলাতেই নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আগামী দুই সপ্তাহ অব্যাহত থাকবে।
দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়াচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্টে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সর্দি জ্বরের মৃদু উপসর্গ থাকায় হাসপাতালে রোগী ভর্তির হার এখনও কম। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।