সোমবার, ০৫ Jun ২০২৩, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন
তিস্তা নদীতে পানির প্রবাহ হ্রাস পাওয়ায় অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে একসময়ের প্রমত্তা নদী। এ নদীর ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের জন্য দুর্ভোগ ডেকে এনেছে। তিস্তায় বর্তমানে পানি পাওয়া যাচ্ছে ২হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার কিউসেক। পানি হ্রাস পাওয়ায় তিস্তা ব্যারাজের সেচ কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্য বছরগুলোর মতো চলতি বোরো মৌসুমেও দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের সেচ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সেচ এলাকার ৮৪ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদানের কথা থাকলেও এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৩ হাজার হেক্টর। ফলে ৩১ হাজার হেক্টর সেচ কমান্ডের বাইরে থাকছে। ১ জানুয়ারি সেচ খালে সেচের পানি সরবরাহ শুরু হয়। সেচ প্রকল্পের আওতায় ২০১৪ সারে বোরো মৌসুমে নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার ৮৩ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু সেচ দেওয়া সম্ভব হয় মাত্র ১৮ হাজার কেক্টর। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে সেচ দেওয়া হয় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে। ২০১৭ সালে মাত্র ৮ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে মাত্র ৩৫ হাজার হেক্টর, ২০১৯ ও ২০২০ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ হাজার হেক্টরে দাঁড়ায়। সর্বশেষ ২০২১ সালে ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া হয়। এবরও একই পরিমাণ জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে। গত চার বছরে পানির প্রবাহ বড়লেও চাহিদা ানুযায়ী পানি না পাওয়ায় তিস্তা অববাহিকার বিপুল পরিমাণ জমি সেচের আওতার বাইরে থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রতিশ্রুতি চুক্তি সম্পাদনে এগিয়ে আসতে হবে। তিস্তা অববাহিকার লাখ লাখ মানুষের ভাগ্য বদলে যেতে পারে প্রতিবেশি দেশ ভারত আন্তরিক হলে। যদিও এ ব্যাপাওে ঢাকা-দিল্লী কুটনৈতিক মিশন কিছুটা আলোর মুখ দেখলেও পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী আন্তরিকতার অভাবে তা অন্ধকারে থেকে গেল। কারণ উনি উজানের বাঁধ থেকে ১কিউসেক পানি বেশি দিতে রাজী নয়।
শাফায়েত জামিল রাজীব
প্রধান সম্পাদক
একুশে টাইমস্ বিডিডটকম