শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:১৩ অপরাহ্ন

জীবন-যুদ্ধের কাছে হার মানতে নারাজ কিশোরগঞ্জের তরুন উদ্যোক্তা শায়লা আক্তার

জীবন-যুদ্ধের কাছে হার মানতে নারাজ কিশোরগঞ্জের তরুন উদ্যোক্তা শায়লা আক্তার

স্টাফ রিপোর্টার:

জীবন-যুদ্ধের কাছে হার মানবেনা কিশোরগঞ্জের নিকলী সদর ইউনিয়নের নগর গ্রামের সফল উদ্যোক্তা শায়লা আক্তার। ঢাকার তিতুমীর কলেজ থেকে মাস্টার্স পাস করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ থেকে ব্লক বাটিকের ও নিকলী মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস থেকে সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন গ্রামের হতদরিদ্র ও আত্ম প্রত্যয়ী বালিকা তরুণী-যুবতী মহিলাদের হাতে কলমে কাজ শিক্ষা দিয়ে আত্মনির্ভরশীল করে তুলছেন। তিনি এখন বেকার যুবতী মহিলাদের কাছে আদর্শের নাম। নবম শ্রেণীতে পরাকালীন সময়ে শায়লার বড় বোন যখন কুশিকাটা (সুই-সুতোর) কাজ করত তখন কাজগুলো দেখতেন এবং শিখতেন। সেই থেকেই তার আগ্রহ জন্মে ওই কাজের প্রতি। এস.এস.সি পরীক্ষা দেবার পর অবকাশকালীন সময়ে কিছু ওয়ালমেট তৈরী করেন নিজের জন্য ও আত্মীয় স্বজনদের জন্য। সেই সময় সখের বশে মাটি দিয়েও নানা ধরনের জিনিস তৈরী করতেন শায়লা আক্তার। তারপর গুরুদয়াল সরকারী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর আল-ইকরা কিন্টারগার্ডের স্কুলে চার্জ গ্রহণকালীন সময়ে তিনি নিজের জন্য একটি ড্রেস তৈরী করেন। তখন আত্মীয় স্বজন ও পরিচিতজনদের বিনে পয়সায় রেডিমেট পোষাকের উপর বিভিন্ন ডিজাইন করে দিতেন। তার হাতের কাজ দেখে বিভিন্ন লোকজন আগ্রহ দেখায় এবং কাজের ওর্ডার দেন। ¯œাতক পরাকালীন সময়েও তিনি তৈরী পোষাকে কুশিকাটা কাজ করতেন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন বিকেল বেলায় তৈরী পোষাকের উপর কুশিকাজ করতাম। এলাকার অনেক বেকার মহিলারা আমার কাছে আসত এবং দেখতো আমি কিভাবে কাজগুলো করি। তখনকার সময়ে আমার কাছে প্রচুর অর্ডার আসে। ২০১২ইং সালের আমি একটা ড্রেসের ডিজাইন করি। আমাদের পাড়ার একটি মেয়ে ঐ ড্রেসটির একটি ভিডিও তৈরী করে তার এক আত্মীয় ভিয়েনাম প্রবাসী তার কাছে পাঠায়। ঐ ভিয়েনাত প্রবাসী আমার কাজ দেখে আমার সাথে ফোনে যোগাযোগ করে অর্ডার দেয়। তখন আমি আত্ম প্রত্যয়ী বেকার যুবতী ও মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেই। আমার কাছে ২০-৩০ জন মেয়ে বুটিকের প্রশিক্ষণ নিয়ে সাবলম্বী হয়েছেন।
বর্তমানে আসপ্রিয়া ড্রিম ফেশন নামে একটি অনলাইন পেজ খুলেছি। আমি যখন আমার কাজ করা ডিজাইন ঐ পেজে পোস্ট করি তখনই ক্রেতাদের থেকে সাড়া পাই। দেশের ভিতরে ছাড়াও বিদেশে থাকা প্রবাসীদের থেকেও অর্ডার পাচ্ছি। আমি যেখানেই যেই অবস্থায় থাকি হাড় মানবো না। কুশিকাটা ও বুটিকের কাজ চালিয়ে যাবো। আমার কাছে কাজ শিখতে আসা বেকার মেয়েদের ও বয়স্ক মহিলাদেরকে আমি প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি।

 

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana