শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৯ অপরাহ্ন
তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) জ্যেষ্ঠ নেতা খালিদ বাল্টি আফগানিস্তানে নিহত হয়েছেন। তিনি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনটির সাবেক মুখপাত্র ছিলেন।
পাকিস্তানের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নিহত ব্যক্তি খালিদ বাল্টি এটা নিশ্চিত। তবে কিভাবে নিহত হয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা এই তথ্য জানার চেষ্টা করছি।
খবর থেকে জানা যায়, তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপির মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করার সময় খালিদ বাল্টি ‘মোহাম্মদ খোরাসানি’ নাম ধারণ করেন।
পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, টিটিপি নেতা বাল্টি অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। তবে এতে পাকিস্তান নিরাপত্তাবাহিনীর কোনো হাত রয়েছে কিনা সেটা জানা যায়নি। এছাড়া গণমাধ্যমগুলো কোন সোর্স থেকে তথ্য পেয়েছে সেটাও নিশ্চিত করতে পারেননি।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তান তালেবান জানিয়েছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, টিটিপিতে মুফতি খালিদ বাল্টির বর্তমান কোনো পদ বা দায়িত্ব নেই।
খালিদ বাল্টি পাকিস্তানের গিলগিট বাল্টিস্তানে জন্মগ্রহণে করেন। ৪০ এর শেষের কোঠায় বয়সী এই টিটিপি নেতা ২০১৪ সালে সংগঠনটির মুখপাত্রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই বছর পাকিস্তান সেনাবাহিনী টিটিপির বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করে। এতে অধিকাংশ টিটিপি নেতাকর্মী আফগানিস্তানে পালিয়ে যান।
গত ৯ নভেম্বর পাকিস্তান সরকার তেহরিক-ই তালেবানের সঙ্গে এক মাসের অস্ত্রবিরতি চুক্তি করে। কিন্তু পাক সরকার টিটিপির সঙ্গে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করেনি দাবি করে অস্ত্রবিরতি চুক্তি থেকে গত ১০ ডিসেম্বর সরে আসে। এর একদিন পর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের তাঙ্ক জেলায় পাকিস্তানে এক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে টিটিপি।
২০০৭ সালে তেহরিক-ই তালেবান বা টিটিপি প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠার পর পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী, বেসামরিক নাগরিক, রাজনীতিবিদদের ওপর বড় ধরনের বেশ কয়েকটি হামলা চালায় তারা। পাকিস্তান সরকার তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করলে টিটিপি আফগানিস্তানের ভেতরে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
তেহরিক-ই-তালেবান আফগানিস্তানের তালেবান থেকে আলাদা কার্যক্রম পরিচালনা করে। তারা মূলত পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করে সেখানে ইসলামি শরিয়া আইন চালু করতে চাইছে।