শুক্রবার, ০৯ Jun ২০২৩, ০১:৪৫ অপরাহ্ন

ভৈরবে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা না দিয়ে মৌ চাষীর মধু নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

ভৈরবে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা না দিয়ে মৌ চাষীর মধু নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

এম.এ হালিম,বার্তাসম্পাদক :

ভৈরবে মৌ-চাষীর মধূর দাম না দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে জোর পূর্বক মধূ ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা ও তার লোকজনের বিরেুদ্ধে বিচার চেয়ে কৃষি অধিদপ্তর মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মৌ চাষী ছফির উদ্দীন । তবে জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ভুলবোঝাবুঝি বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম ।

সরিষার ভরা মৌসুমে বক্স পদ্ধতিতে মৌ-চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন অনেক মৌ চাষী।। চলতি বছর কালিকাপ্রসাদের আদর্শপাড়া গ্রামের একটি সরিষা খেতে মাত্র ৫০টি বক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করছেন ভুক্তভোগী কিশোরগঞ্জের পাকুন্দি উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের পুত্র মোঃ ছফির উদ্দিন। তিনি প্রতি বছর এখানে আসেন বক্স পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ করতে ।সংরক্ষিত মধু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকেন । কিন্ত স্থানীয় কৃষি অফিসের কৃষি কর্মকর্তা পরিদর্শনে গিয়ে টাকা ছাড়া মধু নিতে গেলে শুরু হয় মৌ চাষীর সাথে বাক বিতন্ডতা। জেলা কৃষি কর্মকর্তা, স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে দুই ধাপে সাড়ে আঠার কেজি মধু নেয় তারা। মধুর মূল্য চাইলে উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মৌ চাষী ছফির উদ্দীনকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। বাক বিতন্ডার একপর্যায়ে এলাকাবাসীর চাপের মুখে নাম মাত্র কিছু টাকা ফেলে দিয়ে তড়িগড়ি করে ঐ স্থান ত্যাগ করে। কৃষি অফিসের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

অভিযোগকারী ক্ষুদ্র মৌ চাষী মোঃ ছফির উদ্দিন জানান প্রথম দফায় ভয়ভীতি দেখিয়ে কৃষি কর্মকর্তা ও তার লোকজন ভয়-ভীতি দেখিয়ে দাম না দিয়ে ৬ কেজি মধু নিয়ে যায় ।পরে পুনরায় জোর পূর্বক ১২ কেজি মধু নিয়ে যেতে চাইলে তার সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয় । এক পর্যায়ে স্থানীয়দের চাপের মুখে ৬ কেজি মধু রেখে বাকি ৬ কেজি মধু নিয়ে নাম মাত্র কিছু টাকা রেখে তড়িঘড়ি সটকে পড়েন ।

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, আকলিমা বেগম জানান আমরা প্রতি বছরই উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদেরকে দেবার জন্য মৌ-চাষীরা আমাদেরকে মধু দিয়ে থাকেন। মধু আনার বিষয়টি এটি একটি সম্পূর্ণ ভূল বুঝাবুঝি। আমরা তাকে বলে ছিলাম অফিসে এসে আমাদের সাথে পরিচিত হতে এবং টাকা নিয়ে যেতে । কিন্তু তিনি টাকা নিতে আসেননি।

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মোহাম্মদু সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, মধু দেওয়া-নেওয়ার বিষয়টি আমি অবগত নই এবং এই বিষয়ে তেমন কিছু জানিওনা। এই প্রথম আমি আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হলাম। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক । এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana