সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০১:৫০ অপরাহ্ন
সংবিধানে নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট বিধিবিধান রয়েছে। সংবিধান সব নির্বাচনের সুস্পষ্ট দায়িত্ব ও ক্ষমতা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের উপর। যেমন সংবিধানের সপ্তম ভাগে ১১৯ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হিসেবে পরিস্কার বলা হয়েছে। ১৯৯ (ক) রাষ্ট্রপতি পদের ও সংসদের নির্বাচনের জন্য ভোটার-তালিকা প্রস্ততকরণের তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অনুরূপ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত থাকিবে ও নির্বাচন কমিশন এই সংবিধান ও আইনানুযায়ী (ক) রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচন অনুষ্ঠান করিবেন; (খ) সংসদ-সদস্যদের নির্বাচন অনুষ্ঠান করিবেন: (গ) সংসদে নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করিবেন; এবং (ঘ) রাষ্ট্রপতি পদের এবং সংসদের নির্বাচনের জন্য ভোটার-তালিকা প্রস্তুত করিবেন। (২) উপরি-উক্ত দফাসমূহে নির্ধারিত দায়িত্বসমূহের অতিরিক্ত যে রূপ দায়িত্ব এই সংবিধান বা অন্য কোন আইনের দ্বারা নির্ধারিত হইবে, নির্বাচন কমিশন সেইরূপ দায়িত্ব পালন করিবেন। কাজেই সুষ্ঠ নির্বাচনের সকল দায় দায়িত্ব এককভাবে নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশন যদি কোন নির্বাচন সঠিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি বলে মনে করে তাহলে সেই নির্বাচন বাতিল করার সর্বময় ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক পরিচালিত সব নির্বাচনে সহায়তা করা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ, প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ ও অ্যাটর্নি জেনারেলের পালনীয় কর্তব্য। কাজেই নির্বাচন কমিশন পরিচালিত কোন নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারও সুযোগ নেই।
সাম্প্রতিকালে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশসমূহ বাংলাদেশের অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর সরকার তড়িঘড়ি করে রাষ্ট্রপতির সাথে বিভিন্ন বিরোধী দলের সংলাপের আয়োজন করে। এজেন্ডা হলো ‘স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন’। তাই রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়েছেন-সংলাপের ভিত্তিতে সকল দলের মতামত নিয়ে একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। সুপ্রীম কোর্টের একজন বিচারপতিকে সার্চ কমিটির প্রধান করা হবে এবং সার্চ কমিটি মনোনীত ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। কিন্ত দেশের বৃহত্তম বিরোধীদল বি.এন.পি বিয়ষটিকে সরকারের ‘আষাঢ়ে গল্প’ বলে প্রত্যাখান করেছে এবং সংলাপে অংশগ্রহণ করতে অনীহা প্রকাশ করেছে। এটা জাতির জন্য হাতাশাব্যঞ্জক।
শাফায়েত জামিল রাজীব
প্রধান সম্পাদক
একুশে টাইমস্ বিডিডটকম