রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
এম.এ হালিম,বার্তা সম্পাদক :
ভৈরবে জুয়েল মিয়া (৩০) নামে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীকে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর মামলায় ২ চিকিৎসক ও সহকারিকে ২ বছর করে জেল ও ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ১ বছরের বিনাশ্রম জেল দিয়েছে আদালতের বিচারক ।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো ভৈরব ট্রমা হাসপাতালের অর্থপেডিক চিকিৎসক কামরুজ্জামান আজাদ,ডাঃ মোঃ ইমরান ও সহকারি গৌরাঙ্গ সাহা । এছাড়া হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন ও পরিচালক হিরন মিয়াকে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয় । টাকা অনাদায়ে আরো ১ বছরের জেল দিয়েছে আদালত । তবে হাসপাতালের ২ পরিচালক আগামী ১ মাসের মধ্যে জরিমানা পরিশোধের অঙ্গীকার করে জামিনে ছাড়া পেয়েছে । জানাযায় গত ১৩ ডিসেম্বর সোমবার কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত ৩য় জেলা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় দেন । রায়ের সময় অর্থপেডিক ডাঃ কামরুজ্জামান আজাদ আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত ।
মামলার এজাহার ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানাযায় ২০১৯ সালে ৫ জুলাই পোলিট্র ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়া ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ট্রমা হাসপাতালের অর্থপেডিক চিকিৎসক ডাঃ কামরুজ্জামানের তত্বাবধানে হাতের অস্্েরাপাচার করতে হাসপাতালে ভর্তি হন । পরে এ্যানেস্থিসিয়া চিকিৎসক না থাকায় হাসপাতালের সহকারি গৌরাঙ্গ সাহা রোগীকে এ্যানেস্থেসিয়া ( অজ্ঞান ) করার ঔষধ প্রয়োগ করেন । পরে অপরেশন করার পর রোগীর জ্ঞান না ফেরায় অপারেশন থিয়েটারেই রোগীর মৃত্যু হয় । কিন্ত রোগীর জ্ঞান ফিরে না আসায় স্বজনদের সন্দেহ হলে স্বজনরা রোগীর কাছে যেতে চাইলে স্বজনদের অপারেশন থিয়েটারে যেতে না দিয়ে মৃত রোগীকে জীবিত আছে বলে দ্রƒত ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন । পরে রোগীর স্বজনরা অপারেশন থিয়েটারে জোর করে ঢুকে দেখেন রোগী মারা গেছে । এ ঘটনা জানাজানি হলে হাসপাতালের চিকিৎসকসহ সবাই গা ঢাকা দেয় । পরদিন নিহতের ভাই কামাল মিয়া বাদী হয়ে অর্থপেডিক ডাঃ কামরুজ্জামান আজাদ,ডাঃ ইমরান.সহকারি গৌরাঙ্গ সাহা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৫ জনকে আসামি করে ভৈরব থানায় মামলা দায়ের করেন । পরে ঘটনা তদন্ত করে ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন । দীর্ঘ আড়াই বছর পর আদালতের বিচারক এ রায় দেন ।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় বাদী কামাল মিয়া রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, জরিমানার টাকা পেলে নিহত জুয়েলের ২ টি শিশু সন্তানসহ পরিবারটি ভালোভাবেবেচেঁ থাকতে পারতো ।