সোমবার, ০৫ Jun ২০২৩, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুরের নারী ফুটবলারদের ইতিহাস সবারই জানা। বৃহস্পতিবার কমলাপুর স্টেডিয়ামে বিজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও ছিল কলসিন্দুরের ৪ জন খেলোয়াড়।
দেশের হয়ে শিরোপা জেতায় ধোবাউড়া উপজেলার মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে সারজিল হাসানের প্রশংসা করা হচ্ছে। সারজিল হাসানের জন্ম ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী রনসিংহপুর গ্রামে।
ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলা নিয়ে বেশ আগ্রহ ছিল। ধোবাউড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শেষ করে সপ্তম শ্রেণিতে বিকেএসপিতে ভর্তি হন জিদান।
এর আগে ময়মনসিংহ আলহেরা ক্লাবে প্রথমে ক্রিকেট অনুশীলন করলেও তার অসাধারণ গতির জন্য বিকেএসপির অ্যাথলেটিক্স ক্যাম্পে ডাক পড়ে। সারা দেশের ৪০ জনকে নিয়ে গড়া ক্যাম্পে যে ৪ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয় তাদের একজন জিদান। পরে বিকেএসপিতে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা শুরু করে।
জিদান এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। ২০১৯ সালে ভারতে একটি আমন্ত্রণমূলক খেলায় ২০০ মিটার স্প্লিন্টে রৌপ্য জিতেছিলেন। এ বছর বাংলাদেশের হয়ে স্বর্ণ জিতেছেন জিদান।
এ ব্যাপারে সারজিল হাসান জিদান খান জানান, তার লক্ষ্য আরও স্বর্ণ জিতে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করা।
সারজিল হাসান জিদান খানের বাবা স্থানীয় একটি দাখিল মাদ্রাসার সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জানান, আমার ছেলে দেশের হয়ে স্বর্ণ জিতেছে এজন্য আমি অনেক খুশি। তাকে উৎসাহ এবং সহযোগিতা করলে দেশের সুনাম বয়ে আনবে বলে আমি মনে করি।