শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন
’৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষানীতি বিরোধী আন্দোলনের সময় তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন (পরবর্তীতে মোশতাকের মন্ত্রীসভার অন্যতম মন্ত্রী) এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলুর হক মনি (আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান) আন্দোলনকে সাংগঠনিকরূপ দিতে একটি নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের উন্মেষ ঘটায়। কিন্তু মনি তখন কারাবন্দী হয়ে দীর্ঘদিন জেলের ঘানি টানছিলেন। এমতবস্থায় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল আলম খান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। অত:পর ’৬৩ সালে ছাত্রলীগের কাউন্সিল অধিবেশনে ছাত্রনেতা এ.কে.এম ওবায়দুর রহমান সভাপতি এবং ডাকসাইটে ছাত্রনেতা সিরাজুল আলম খান আরেক ছাত্রলীগ নেতা ফেরদৌস আহমেদ কোরাইশীকে ভোটে পরাজিত করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ’৬৪-তে সিরাজুল আলম খানের অনুপ্রেরণায় আ: রাজ্জাক (পরবর্তীকালে বাকশাল নেতা ও আওয়ামীলীগের মন্ত্রী ছিলেন) সভাপতি নির্বাচিত হন। সেই সময়, আইয়ূব বিরোধী আমাদের স্বাধিকার ও অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে, বিশেষ সাংগঠনিক রূপ দেওয়ার উদ্দেশ্যে ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ নামে একটি রাজনৈতিক সেল গঠন করা হয়- যা পরবর্তিতে ‘নিউক্লিয়াস’ নামে অখ্যায়িত হয়। আ: রাজ্জাক ‘নিউক্লিয়াস’ সম্বন্ধে পরবর্তীকালে মিডিয়ার কাছে বলেছিলেন- “আসলে নিউক্লিয়াসের চিন্তা মাথায় এসেছিল ’৬২ সালে আর এটা সাংগঠনিক রূপ নিয়েছিল ’৬৪ সালের দিকে। এই পরিমন্ডলে সিরাজুল আলম খান, আমি এবং ঢাকানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ ছিলাম “হাই কমান্ড।”
“বিপ্লবী রোমান্টিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে, স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ বা নিউক্লিয়াসের সদস্যরা “আঙ্গুল কেটে রক্ত বের করে, শপথ নিয়েছিল- “যতদিন দেশ স্বাধীন না হবে; ততদিন তারা ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধা বা প্রতিষ্ঠার পেছনে ছুটবেন না।”
শাফায়েত জামিল রাজীব
সম্পাদক
একুশে টাইমস্