রবিবার, ১৫ Jun ২০২৫, ১১:৫৩ অপরাহ্ন
রোজায় পণ্যের অগ্নিমূল্যে অসহায় ক্রেতা। প্রথম রোজায় ইফতারির আয়োজন এবং পরবর্তী রোজার সেহরির জন্য খাদ্যপণ্য কিনতে অনেকেই ছুটছেন বাজারে। কিন্তু সেখানে পণ্যের ঘাটতি না থাকলেও সবাই দাঁড়িয়ে আছেন মলিন মুখ নিয়ে। কারণ, বাজারে চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা, ময়দা, ছোলা, বেসন, মাছ-মাংসসহ প্রায় সব ধরনের পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর বিভিন্ন ফলেরও অসহনীয় দাম থাকায় চাহিদা মেটাতে দুই-এক পিস ওজন করে কিনতে হচ্ছে। লেবু-শসার দামও অসহনীয়। মঙ্গলবার ভালোমানের প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়, যা সাতদিন আগে ছিল ৬০-৭০ টাকা। মাঝারি মানের প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, যা সাত দিন আগে ৪০-৫০ টাকা ছিল। পাশাপাশি এক সপ্তাহ আগে প্রতি হালি যে লেবু ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা মঙ্গলবার খুচরা বাজারে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৩০ টাকা হালিতে বিক্রি হওয়া লেবুও এদিন ক্রেতাকে ৫০ টাকায় কিনতে হয়েছে। এতে বাজারে নিুবিত্ত ছাড়াও মধ্যবিত্তদেরও নাভিশ্বাস অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৩০ এবং গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের অনেকে এখন সাধ ও সাধ্যের মধ্যে মাংস কিনতে পারছেন না। ফলে গরিবের জন্য বাজার করা এখন বড় ধরনের মানসিক কষ্ট ও হতাশার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ কেউ বাজারে গিয়ে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকছেন। কেউ আবার নিরুপায় ঘোরাফেরা করছেন। রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র লক্ষ করা গেছে। লাগামহীন দামের অবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে যুগান্তরের কাছে ক্ষোভ-অসন্তোষ জানিয়েছেন অনেকে ক্রেতা। তারা বলেন, মিডিয়ায় এসব লিখে কোনো লাভ হবে না। যারা ব্যবস্থা নেওয়ার, তারা নিচ্ছে না। সিন্ডিকেট নিয়ে অনেক কথা শুনেছি। ওরা এতই প্রভাবশালী, তাদের বিরুদ্ধে কেউ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না।