মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০১:৩৩ অপরাহ্ন
সৃষ্টির অনাদিকাল থেকেই-পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার অববাহিকায় ভেসে ওঠা, এই গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলের বসবাসকারী জনগোষ্ঠী বাঙালী জাতি হিসেবে পরিচিত। শাতব্দীর পর শতাব্দী, যুগের পর যুগ, বছর এর পর বছর বাঙ্গালী জাতি শাসিত ও শোষিত হয়ে আসছে। বিভিন্ন সময় বহিরাগত বিজাতীয় শাসক গোষ্ঠী দ্বারা শোষিত ও নির্যাতিত হয়ে আসছে। বাংলার উর্বর মাটির, উর্বর খাজনা আদায় করে রাজকোষ আর রাজ দরবার টুইটুম্বুর আকার ধারণ করেছে কিন্তু আপামর জনগনের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন করেননি তারা। আবার ধর্মীয় দিক থেকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দক্ষিণ ভারতের কর্নাটক থেকে আগত সেন রাজাদের তুষ্ঠ করতে বাংলার আপামর মানুষ তাদেরকে নমস্কার দিয়েছে। তারপর পাঠান- মুঘল আফগানদের তলোয়ারের শক্তি দেখে-সকলেই সালাম দিতে শুরু করল। এভাবে শুরু হলো শোসন আর শাসন।
যখন শিল্প বিপ্লব ঘটল- তখন বৃটিশ, ফরাসী, ওলন্দাজ, পুর্তগীজ প্রভৃতি ইউরোপীয় জাতি তলোয়ার নয়- বরং সমুদ্র পথে কামানের গোলা আর রাইফেল এর গুলি নিয়ে জলযান ব্যবহার করে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় উপনিবেশ স্থাপন করল। এভাবে ভারত বর্ষ হয়ে গেল বৃটিশ উপনিবেশ। তখন মুক্তির স্বাদ নিতে- শহীদ তিতুমীর, বাঘাযতীন, বিনয়, বাদল, ক্ষুদিরাম, প্রফুল্লচাকী প্রমুখ দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জীবন দিয়ে দিল। মাস্টার দা সূর্য সেন কিংবা বীরকন্যা প্রীতিলতা বৃটিশ বেনিয়াদের রাইফেলের গুলিকে ভয় পায়নি।
এরপর সাতচল্লিশের দেশে ভাগের পর, আমরা মুক্তির স্বাদ নেওয়ার জন্য উদগ্রীব হলাম। কিন্তু এই পর্যায়ে আমরা পশ্চিম পাকিস্তানীদের বিশ্বাস ঘাতকতার কাছে হেরে গেলাম। আবার বাঙালি জাতি পশ্চিম পাকিস্তানীদের শোষণ ও শাসনের শিকঁলে আবদ্ধ হল। এবার বীর বাঙালীরা পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর বৈষম্য মূলক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করল প্রতিরোধ করল ও যুদ্ধে নামল। নেতৃত্ব দিতে মঞ্চে আসলেন মুক্তির দিশারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাজালেন রনতুর্জের বাশিঁ। আর এই যুদ্ধ বাশিঁর সুরে, মাতাল হয়ে
স্বাধীনতা কামি কৃষক কাঁচি ফেলে রাইফেল হাতে নিল, শ্রমিক হাতুরি ফেলে বেরনেট আকড়ে ধরল। আর আপামর ছাত্র-জনতা দিল বুকের তাজা রক্ত- পীচঢালা কালোপথ রক্তিম হলো। অবশেষে রনতুর্যের বাশীঁ হয়ে উঠল মুক্তির গান। আর এই ’মুক্তির গান গাইতে গাইতে শত শত বছরের নির্যাতিত ও শাসিত বাঙ্গালীরা পেল স্বাধীনতার স্বাদ।’
শাফায়েত জামিল রাজীব
-সম্পাদক
একুশে টাইমস্ নিউজ মিডিয়া
এন্ড ইউটিউব চ্যানেল