রবিবার, ১৫ Jun ২০২৫, ১১:২৭ অপরাহ্ন
একুশে ডেস্ক :
এখন থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয় চাল ও গমের বাজারদর নির্ধারণ করে দেবে। মিলগেটে চালের দাম ও সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা থাকবে বস্তার গায়ে। কোন জাতের ধানের চাল তাও লেখা থাকবে বস্তায়। মিনিকেট নামে যেহেতু কোনো ধান নেই, সেহেতু বাজারে এ নামে কোনো চাল থাকতে পারবে না। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার বিকালে খাদ্য, কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ কথা বলেন।
নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের ক্রমাগত অপতৎপরতা সত্ত্বেও সরকারের দুর্বল ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার মধ্যে এদিন অনেকটা গোপনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক সঙ্গে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছি। কৃষি মন্ত্রণালয় আউশ, আমন এবং বোরো-তিন মৌসুমে কোন জেলায় কোন জাতের কি পরিমাণ ধান উৎপাদন হয়েছে তা জানাবে। ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় তথ্যগুলো খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। ধানের উৎপাদন খরচ কত এবং সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য কত তাও জানাবে মন্ত্রণালয়টি। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে খাদ্য মন্ত্রণালয় চাল ও গমের বাজারদর নির্ধারণ করে দেবে।
সাধন চন্দ্র বলেন, এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করবে। কোন কোন পণ্য আমদানি করা প্রয়োজন তা জানাবে কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানির অনুমতি দেবে এবং আমদানি পণ্যের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করে দেবে। সরকার-নির্ধারিত মূল্যের বাইরে কেউ কেনাবেচা করলে কৃষি বিপণন আইন, ভোক্তা অধিকার আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে তার বা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব অধিদপ্তর একসঙ্গে কাজ করবে। আমরা মাঠে নেমেছি, আছি এবং থাকব। আজ (মঙ্গলবার) থেকে এই তিন মন্ত্রণালয় সব ধরণের নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে কাজ করবে।