রবিবার, ১৫ Jun ২০২৫, ১১:৪৫ অপরাহ্ন
ন্যাশনাল ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের আরও একটি নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট ‘জেএন.১’এর সন্ধান পেয়েছেন বিষেজ্ঞরা। এই নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে।
তা হলো— জনবহুল এলাকাগুলোতে মাস্ক পরতে হবে, হাঁচি-কাশির সময় মুখ বন্ধ রাখতে হবে, যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, নিয়মিত হাত পরিষ্কার করতে হবে, কোভিড ও ফ্লু টীকা সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট খবর রাখতে হবে, অসুস্থ হলে বাসায় থাকতে হবে এবং লক্ষণ দেখা দিলে পরীক্ষা করাতে হবে।
দেড় বছর আগে ভারতে দেখা দেয় ওমিক্রম ওয়েভ। তার পর এই ভাইরাসের আবির্ভাবে সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন প্রথম সারির দুজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। তারা বলেছেন নতুন শনাক্ত করা জেএন.১ হলো ওমিক্রনেরই সাব-ভ্যারিয়েন্ট। এতে ভারতে কোভিড ১৯-এর একটি ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।
ওই দুই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক প্রধান বিজ্ঞানী ড. সৌম্য স্বামীনাথান ও ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন কোভিড টাস্কফোর্সের কো-চেয়ারম্যান ড. রাজিব জয়াদেভান।
এনডিটিভিকে বুধবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারা বলেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতায় আক্রান্ত সব রোগীকে পরীক্ষা করে দেখা গেছে তার মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগই কোভিড পজিটিভ। তারা কোচির অধিবাসী। তারা বলেছেন, কমিউনিটির মধ্যে কোভিড আক্রান্তের বিস্তার ঘটছে। আশপাশের অনেকের দেহে কোভিড পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ভাইরাসটির নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টে জনস্বাস্থ্যে ঝুঁকি নিম্নস্তরের এবং বর্তমানে যে টিকা আছে তাতেই সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে। কিন্তু এই শীতে কোভিড ও অন্যান্য সংক্রমণের বিষয়ে সতর্ক করেছেন তারা।