মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০১:১০ অপরাহ্ন
ক্যাষ্ট্রোর বন্ধু ও গেরিলা সহযোদ্ধা চে-গুয়েভারার কাছে নির্দেশ এল, কিউবার বন্দর হাভানার উদ্দেশ্যে রওনা হবার। পরদিন মাঝরাতে চে’গুয়েভারা তার বাহিনী নিয়ে লা কাবানায় পৌঁছালেন। হাভানায় বন্দরের মুখে ছিল বিশাল দুর্গ। দুর্গ থেকে হাভানা দেখা যায়। ইতিমধ্যে তিন হাজার বাতিস্তার সৈন্য ২৬ জুলাই ’৫৯ গেরিলাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। চে’গুয়েভারা দুর্গে প্রবেশ করলেন, তার গেরিলা বাহিনী নিয়ে। হাভানা ছিল অপরাধের শহর। উত্তেজনা, ক্যাসিনো, নাইট ক্লাব আর বেশ্যায়লয় ভর্তি। মারিজুয়ানা, কোকেন যত্রতত্র পাওয়া যেত। জনতার মধ্যে বিদ্রোহীরা শহর দখল করার পর তুমুল উৎসবের আবহাওয়া, নৈরাজ্য, অনিশ্চয়তা দেখা দিল। বাতিস্তার দুর্নীতির আখড়া-বড়-বড় বাড়ি জনতা আক্রমণ করছে। ক্যাসিনো, নাইট ক্লাবগুলিতে উত্তেজিত লোকেরা ভাঙচুর করছে, রাস্তার সমস্ত মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছে আনন্দে। বাতিস্তার অত্যাচারের দিন শেষ হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে অনেকে পালিয়েছে। চে’গুয়েভারার উপর দায়িত্ব হল বিশ্বাসঘাতক ও ষড়যন্ত্রকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া। হাজারেরও বেশি যুদ্ধবন্দি। প্রতিটি বিচারের সময় চে’গুয়েভারা নিজে উপস্থিত থাকতেন। যাতে আবেগের বশে কোন অন্যায় শাস্তি না দেওয়া হয়।
শাফায়েত জামিল রাজীব
-সম্পাদক
একুশে টাইমস্ নিউজ মিডিয়া
এন্ড ইউটিউব চ্যানেল।