মাসখানেক ধরে চালের বাজার উচ্চমূল্যে এক রকম স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু আমনের ভরা মৌসুমের মধ্যেই আবারও চালের বাজারে সিন্ডিকেটের কালো থাবা পড়েছে। এ জন্য কোনো কারণ ছাড়াই হুট করেই পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা দাম বেড়েছে চালের।
এছাড়া কুষ্টিয়া, নওগাঁ, দিনাজপুর এলাকার চালকলগুলোতেও দাম বেড়েছে চালের। মূলত এর প্রভাবেই পাইকারি ও খুচরাতেও দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) চালের বাজার ও মিল পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা যায়।
ঢাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে এখন সরু (মিনিকেট) চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়, যা ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা ছিল। মাঝারি (বিআর-২৮, পায়জাম) চালের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ তিন টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা। দুই টাকা বেড়ে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়।
চালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জননী রাইস এজেন্সির মালিক কবীর হোসেন বলেন, এখন অনেকটা হুট করেই চালের দাম বেড়েছে। এর পিছনে প্রধান কারণ হচ্ছে মিল পর্যায়ে কেজিতে দাম বেড়েছে ৩-৪ টাকা। এর প্রভাবে বাজারেও দাম বেড়েছে। এছাড়া ভোটের কারণে গাড়ি কম এসেছে। তাই সরবরাহ ঘাটতির কারণে চালের দাম বেড়েছে। মানভেদে প্রতি বস্তা চালের দাম দেড়শ থেকে আড়াইশ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
মোকামমালিক, আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ মৌসুমে পর্যাপ্ত ধান উৎপাদন হয়েছে। কোথাও চালের সংকট নেই। কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ে আমন ধানের মজুত গড়ে তোলা হয়েছে। মজুতের কারণে বাজারে চালের দাম বাড়ছে।
একই বাজারে খুচরা চাল বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আগে প্রতি কেজি মিনিকেটের দাম ছিল ৬৬ টাকা, বর্তমানে তা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪৬ টাকার পায়জাম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।