অবশেষে চক্রপূরণ। নিজেদের আঙিনায় নিউজিল্যান্ড আর কোনো সংস্করণেই টিম বাংলাদেশের কাছে অজেয় নয়। টেস্ট এবং ওয়ানডের পর এবার টি-টোয়েন্টিতেও ধরা দিয়েছে গর্বের জয়। নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে বুধবার সিরিজের প্রথম ম্যাচে কিউইদের ১৩৪ রান টপকে টাইগাররা জয় পেয়েছে ৫ উইকেটে। উল্লেখিত সংখ্যাগুলোই বলে দিচ্ছে, চক্রপূরণ করা স্মরণীয় জয়টা এসেছে বোলারদের নৈপুণ্যে।
শেখ মেহেদী হাসান, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমানরা এদিন বল হাতে ছিলেন দুর্দান্ত। প্রথম ওভারেই উইকেট এনে দেন অফস্পিনার শেখ মেহেদী। পরের ওভারে জোড়া শিকার ধরেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল। পঞ্চম ওভারে ফের শেখ মেহেদীর ধাক্কা। শুরুর ওই ধাক্কা যখন সামলে উঠছিল কিউইরা, তখন শুরু মোস্তাফিজ ঝলক। বাঁহাতি কাটার-মাস্টারের সঙ্গে তানজিম হাসান সাকিব-রিশাদ হোসেনরাও যুক্ত হন উইকেট শিকারের মিছিলে। এরই ফল নিউজিল্যান্ডের অল্প রানে আটকে যাওয়া, জয়ের মঞ্চ তৈরি হওয়া।
সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে যেমন পারফরম্যান্স ছিল বোলারদের, একই ভেন্যুতে তেমন রূপেই তাদের দেখা গেছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে। তারা জানতেন, দলের মধ্যে জয়ের আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে স্মার্ট বোলিং করতে হবে। জয়ের এমনটাই বলেছেন শেখ মেহেদী, ‘বোলাররা যখন দলকে ভালোভাবে সহায়তা করে তখন দলের আত্মবিশ্বাসটা বেড়ে যায়। শেষ ম্যাচে যেমন বোলিং বিভাগ দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। বোলারদের মধ্যে সেটি আছে-এমন কন্ডিশনে স্মার্ট বোলিং করতে হবে। মাশাআল্লাহ, যে কজনই বোলিং করেছে, সবাই মিলে ভালো বোলিং করেছে।’
ম্যাকলিন পার্কে পেসারদের রাজত্ব নতুন কিছু নয়। তবে শেখ মেহেদী আর রিশাদের মতো স্পিনার যেভাবে ছড়ি ঘুরিয়েছেন স্বাগতিক দলের ওপর, তা চোখে পড়ার মতোই। নজর কেড়েছে লিটন দাসের স্বভাববিরুদ্ধ কার্যকরী ব্যাটিংও। সবমিলে জয়টা এসেছে দলীয় প্রচেষ্টায়, ব্যাট হাতে লিটনের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটিতে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা শেখ মেহেদী তেমনটাই বললেন, ‘পেসাররা ভালো করেছে। দল জিততে হলে সবার পারফরম্যান্সটা গুরুত্বপূর্ণ। এক-দুজনের পারফরম্যান্স নয়। স্পিনাররা সবাই ভালো করেছে, পেসাররাও। এ জন্যই ওদের এত কম রানে থামাতে পেরেছি এবং জিতেছি।’