বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর নিজবাড়ি থেকে ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম স্বপনকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে হাত ও চোখ বেধে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে নির্যাতন করে ওসি মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন চন্দ্র। সেই সঙ্গে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করা হয়। নির্যাতনের একপর্যায়ে জ্ঞান হারালে রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাকে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। জ্ঞান ফিরলে তাকে আবারও থানায় আনা হয়। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্বজনদের কাছে দেওয়া হয়।3
আইনজীবী জাসিদুল ইসলাম জনি সাংবাদিকদের বলেন, জাহিদুল ইসলামকে তুলে নিয়ে থানায় বেধে নির্যাতন করে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল ওসি মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন চন্দ্র বসাক। পরে স্বজনরা ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনে এবং বাকি টাকা পরে দিতে বলা হয়। ওই ঘটনায় জাহিদুল থানায় মামলা করতে গেলে গ্রহণ করা হয়নি। পরবর্তীতে তিনি আদালতে মামলা করলে তা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ মামলায় পুলিশ ফাইনাল রিপোর্ট দেয়। রিপোর্টের ওপর স্বপন নারাজি দিলে তা নামঞ্জুর হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে মানবাধিকার কমিশন ও ডিআইজি বরাবর অভিযোগ করেন স্বপন। মানবাধিকার কমিশন বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায় এবং অভিযুক্ত ওসির বিরুদ্ধে এরকম বেশ কয়েকটি অভিযোগ তারা পেয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে।