শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন

মৃত প্রাণীর মাংস খাওয়া বৈধ নয়

মৃত প্রাণীর মাংস খাওয়া বৈধ নয়

মহান আল্লাহ মানুষের খাবারের জন্য পশুপাখির গোশত হালাল করেছেন। কোন ধরনের পশুপাখি খাওয়া যাবে তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে কুরআন-হাদিসে। যেসব প্রাণীর গোশত খাওয়া হালাল, সেগুলো আল্লাহর নামে জবাই হওয়াও অন্যতম একটি শর্ত। আল্লাহর নামে জবাই করা হয়নি, এমন কোনো পশুপাখির গোশত খাওয়া জায়েজ নয়। অতএব কোনো প্রাণী যদি মারা যায় কিংবা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নামে জবাই করা হয়-সেই প্রাণীর গোশত খাওয়া বৈধ হবে না। দেশে বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টে মরা মুরগির গোশত বিক্রির খবর শোনা যায়। হোটেল-রেস্টুরেন্টে এসব মরা মুরগি সাপ্লাই দিচ্ছে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। ফলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক মানুষ মরা মুরগির গোশত খেয়ে চলছে দিনের পর দিন। এটা নিঃসন্দেহের গুনাহের কাজ।
যেসব প্রাণী কোনো দুর্ঘটনায় বা অন্য কোনো কারণে নিহত হয়েছে বা মৃত্যুবরণ করেছে সেসব প্রাণী খাওয়া মুসলমানদের জন্য হালাল নয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে, মৃত প্রাণীর গোশত, প্রবহমান রক্ত, শূকরের গোশত, আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে জবাইকৃত প্রাণীর গোশত, শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, আঘাতে মৃত জন্তু, পড়ে গিয়ে মৃত জন্তু, অন্য পশুর শিংয়ের আঘাতে মৃত জন্তু, হিংস্র পশুর খাওয়া জন্তু; তবে এ রকম প্রাণীকে যদি তোমরা মরার আগে জবাই করে থাকো তা হলে হালাল হবে। আর হারাম করা হয়েছে ওই পশু, যা পূজার বস্তুর কাছে জবাই করা হয়।’ (সুরা মায়েদা : ৩)
অনেকের প্রশ্ন হতে পার-আমরা যারা হোটেল-রেস্টুরেন্টে খেতে যাই আমরা তো জানি না যে, হোটেল কর্তৃপক্ষ আমাদের মরা মুরগির গোশত নাকি জবাই করা মুরগির গোশত খাওয়াচ্ছে। এ ক্ষেত্রে এর দায়ভার কার? এ জন্য গুনাহগার কে হবে? হোটেল মালিক নাকি কাস্টমার? ইসলাম বলে, এ ক্ষেত্রে মরা মুরগি বিক্রেতা ও হোটেল মালিকরা দায়ভার নেবে। তাদেরই গুনাহ হবে। কারণ তারা জেনে-শুনে কাস্টমারের সঙ্গে প্রতারণা করে অপরাধ করছে। আর পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘কেউ কারও অপরাধের দায় নেবে না’ (সুরা নাজম : ৩৮)। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা আমলনামায় যুক্ত হবে, কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলেও সে তার প্রতিদান পাবে’ (সুরা জিলজাল : আয়াত ৭-৮)।
Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana