বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন
বক্তারা আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতে নাকি শ্রম আইন লঙ্ঘন হচ্ছে, উদ্যোক্তারা নাকি শ্রম আইন মানছেন না-এটা সত্য না। দেশের কোনো গার্মেন্টস কারখানায় কোনো শ্রম আইন লঙ্ঘন হয় না। এটা যাতে লঙ্ঘন না হয় সে নিয়ে কাজ করছেন উদ্যোক্তারা। শ্রম ইস্যুতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো কারণ নেই, সেটা হবে না।
ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসকাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সভাপতিত্বে দ্যা অ্যাপরেল নিউজের সম্পাদক ও প্রকাশক অমিত কে. বিশ্বাসের সঞ্চালনায় উক্ত বৈঠকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিবিএ সাবেক সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসেন, আইটিইটি’র (বাংলাদেশ) সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান প্রমুখ।
অবশ্য বক্তারা শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোয় কিছু কিছু কারখানায় সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মত দিয়েছেন। তারা বলেন, পোশাকের বাজারগুলোতে কৃত্রিম সুতার পোশাকের চাহিদা বাড়ায় বাংলাদেশের জন্য এটিও একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি দেশের পোশাক খাত আন্তর্জাতিক রাজনীতির টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতীতেও এ ধরনের অনেক চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। আগামীতেও সবধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পোশাক শিল্প এগিয়ে যাবে। ইতিমধ্যে ১৫ বছরের রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। রোডম্যাপে ভার্চুয়াল মার্কেট ও কৃত্রিম ফাইবারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আগামীতেও পোশাক খাত অগ্রগতি অব্যাহত রাখবে।