রবিবার, ১৫ Jun ২০২৫, ১১:২০ অপরাহ্ন
কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। এ সময় ইভ্যালি মার্চেন্ট এন্ড কঞ্জ্যুমার্স কোর্ডিনেশন কমিটির নেতৃবৃন্দ মো. রাসেলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
ইভ্যালি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইভ্যালি সূত্রে আরো জানা যায়, দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় তিনি শারিরীকভাবে কিছুটা অসুস্থ। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েই তিনি দ্রুতই ধানমন্ডিস্থ ইভ্যালি কার্যালয়ে আসবেন।
ইভ্যালি সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রায় ২ বছর ৩ মাস পর কারামুক্ত হয়ে তিনি তার মোহাম্মদপুরের বাসায় চলে যান। তবে মো. রাসেল মুক্তি পাওয়ায় ইভ্যালির কর্মীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। একই সঙ্গে ইভ্যালির গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীদের সংগঠন ‘ইভ্যালি মার্চেন্ট এন্ড কঞ্জ্যুমার্স কোর্ডিনেশন কমিটির’ নেতারাও আশা করছেন মো. রাসেলের মুক্তির ফলে ইভ্যালি আবার পূর্ণ উদ্যোমে কার্যক্রম শুরু করবে। একই সঙ্গে সকল গ্রাহক ও মার্চেন্টের পাওন পরিশোধ করে আবারো সারা দেশে পণ্য বিক্রি ও সেবা কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।
কারামুক্তির পর মো. রাসেলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান, ইভ্যালি মার্চেন্ট এন্ড কঞ্জ্যুমার্স কোর্ডিনেশন কমিটির নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইভ্যালি মার্চেন্ট এন্ড কঞ্জ্যুমার্স কোর্ডিনেশন কমিটির সমন্বয়ক মো: নাসির উদ্দিন, কো-সমন্বয়ক সাকিব হাসান, মো: ফয়সাল ইসলাম, মো: জসিম উদ্দিন এবং ইভ্যালি ফ্যান ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মোফতাছিম বিল্লাহ নাহিদ।
এর আগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির মুক্তি সিইও মো. রাসেলের মুক্তির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর জেলার মো. তরিকুল ইসলাম জানান, সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে মো. রাসেল কারাগার থেকে মুক্তি পান।
তিনি আরও জানান, মো. রাসেল একাধিক মামলায় কারাগারে বন্দি ছিলেন। সব মামলার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছালে যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল সোমবার বিকেলে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
জানা যায়, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরদিন বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এদিকে, ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টের কোম্পানি আদালতে আবেদন করেন ইভ্যালির গ্রাহক ফরহাদ হোসেন। এতে ইভ্যালি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠনেরও আবেদন জানান। ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২১ এপ্রিল চেক প্রতারণার নয় মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে জামিন দেন আদালত। ওই দিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পান তিনি। তবে, তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় কারামুক্ত হতে পারেননি রাসেল। তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন বর্তমানে জামিনে আছেন। হাইকোর্টের নির্দেশনায় বর্তমানে তিনি ইভ্যালির দায়িত্বে আছেন। এর আগে তিনি ইভ্যালির চেয়ারম্যান ছিলেন।