শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন

ক্ষুধার নগরে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা

ক্ষুধার নগরে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনের আজ ৬৭তম দিন। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা নির্বিচার হামলায় এরই মধ্যে দুর্ভিক্ষ চোখ রাঙাচ্ছে অবরুদ্ধ উপত্যকায়। মাঝে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির পর ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকে ইসরাইলি সেনারা আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। উত্তরাঞ্চলের পর এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে গাজার দক্ষিণাঞ্চলও। অবরুদ্ধ গাজাবাসীর কাছে সহায়তা পৌঁছাতে পারছে না জাতিসংঘসহ অন্যান্য দাতা সংস্থাও। ক্ষুধার নগরে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, পুরো উপত্যকায় যেখানে ৩৬টি হাসপাতাল ছিল, সেখানে এখন কোনোরকমে টিকে আছে মাত্র ১১টি হাসপাতাল। সেগুলোতেও আছে শুধু প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। জরুরি ভিত্তিতে ইসরাইলের এ আগ্রাসন থামানো না গেলে হাসপাতাল বলে আর কিছু বাকি থাকবে না অবরুদ্ধ গাজায়। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ডব্লিউএইচও। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের দিকে তাকিয়ে গাজাবাসী। কারণ গাজায় জরুরি যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ভোটগ্রহণের জন্য মঙ্গলবার সভা ডাকা হয়েছে সাধারণ পরিষদের; যেখানে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা নেই কারও।
ফিলিস্তিন অঞ্চলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিচার্ড পিপারকর্ন ভিডিওলিংকের মাধ্যমে জাতিসংঘের একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ‘মাত্র ৬৬ দিনে গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে ২৫টি ধ্বংস হয়ে গেছে। ১১টি হাসপাতাল আংশিকভাবে কার্যকর আছে, যার মধ্যে একটি উত্তরে এবং বাকি ১০টি দক্ষিণে।’
ডব্লিউএইচও কর্মকর্তার এই বিবৃতির রেশ কাটতে না কাটতেই উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের ওপর ভয়াবহ আঘাত হেনেছে ইসরাইলি বাহিনী। কয়েক দিন ধরে ঘেরাও করে বোমাবর্ষণ করার পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই হাসপাতালের আঙিনায় মেডিকেল স্টাফ ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলে পড়েছে ইসরাইলি সেনারা। হাসপাতালের ভেতরে থাকা কয়েকজন মেডিকেল স্টাফকে ইতিমধ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপির এই প্রতিবেদনের বিষয়ে অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরাইল।
Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana