শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
‘কিশোরগঞ্জ’ স্থানের সাথে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের অনেক ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। এ স্থানের সাথে মিলে আছে একটি নাম, তিনি হলেন ঈশা খাঁ। ধারণা করা হয় যে, তিনি ১৫২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলার বার ভূঁইয়াদের মধ্যে অন্যতম ও প্রধান ছিলেন। তিনি দক্ষতার সাথে ভাটি অঞ্চলকে শাসন করেছেন ও বীর হিসেবে মুঘলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। ৩৫ বছর বয়সে সোনারগাঁ এবং মোহেশওয়াদী পরগণার একটি ভূ-সম্পত্তি অর্জন করতে সক্ষম হন। যার কারণে তাঁর উপর কারিনার আফগান রাজা তাজ খানের সুনজর ছিল। তিনি ক্রমাগতভাবে তাঁর শক্তি ও সুনাম বৃদ্ধি করেছেন এবং ১৫৭১ সালে তিনি এতই শক্তিশালী হয়েছিলেন যে, স¤্রাট আকবরের রাজ্যসভার সভ্য আবুল ফজল তাঁকে ভাটির শাসক হিসেবে নিয়োগ দেন। এমনকি মুঘল সেনাপতি মানসিংহের সাথে ঈসা খাঁ এগারসিন্দুর চরাঞ্চলে বীর বিক্রমে যুদ্ধ করেন।
পশ্চিম বাংলায় মুঘলের বিস্তারের বিরুদ্ধে ঈশা খাঁ কঠোর বাধা প্রদান করেছিলেন। ১৫৮৪ সালে পরবর্তী রাজ প্রতিনিধি সাহবুজ খান ঈশা খাঁ’র বিরুদ্ধে একটি অভিযান চালিয়েছিলেন। ঈশা খাঁ’র রাজধানী কীজপুর, সোনারগাঁ এবং এগারসিন্দুরে লুট করে এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। সেই সময় ঈশা খাঁ কোচ বিহার থেকে ফিরে আসে এবং মাসুম খান কুবুলীর সাথে সন্ধি স্থাপন করে; যা জল ও স্থলে মুঘলদের জন্য প্রচন্ড বাঁধা তৈরী করে। সেই যুদ্ধে মুঘলরা পরাজিত হয় এবং টান্ডায় ফিরে যেতে বাধ্য হয় যাকে মুঘলদের সদর বলা হত। কিন্তু এই জয় ঈশা খাঁ’র উদ্বেগ দূর করতে পারেনি কারণ পরবর্তীকালে আকবর আবারও ১৫৮৬ সালে শাহবুজ খানকে ভাটির উদ্দেশ্যে প্রেরণ এবং ঈশা খাঁকে সন্ধি করতে বাধ্য করেন।
শাফায়েত জামিল রাজীব
সম্পাদক
একুশে টাইমস্