শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন
এমএ হালিম,বার্তা সম্পাদক ॥ ভৈরবে টাকা না দেয়ায় বোনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ নেশাগ্রস্ত ভাইয়ের বিরুদ্ধে ।ঘটনার পর পর ঘাতক জনি ওরফে কালু কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । নিহতের নাম আমেনা বেগম (৪০) সে সৌদি প্রবাসি নাঈমের স্ত্রী ও ৪ সন্তানের জননী । হত্যার পর পরই ঘাতক কালু মিয়া পালিয়ে গেলেও পরে রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় । শহরের কমলপুর গাছতলা ঘাট এলাকায় মঙ্গলবার বিকাল ৫ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে । খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১১ টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করেছে ।তবে পুলিশের দাবী পারিবারিক কলহের জেরে ভাই -বোনকে হত্যা করেছে । হত্যাকারীর ফাসিঁর দাবী জানান নিহতের স্বজনরা ।
জনি মিয়া ওরফে কালুু মিয়া দীর্ঘদি যাবত ভাঙগারির ব্যবসা করতো । ব্যবসার পাশাপাশি সে মাদকে আসক্ত ছিলো । মঙ্গলবার বিকালে মাদক সেবনের টাকার জন্য বোনের কাছে আবদার করে । বোন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভাই-বোনের কথা কাটাকাটি হয় । এক পর্যায়ে নেশাগ্রস্ত ভাই উত্তেজিত হয়ে মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে বোন ও তার ভাগিনাদের চোখে –মুখে ছিটিয়ে দিয়ে তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে বোনের বুকে উপযুপরি কয়েকবার আঘাত করে সে পালিয়ে যায় । পরে আহত অবস্থায় আমেনা বেগমকেপ্রথমে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করে । পরে ঢাকা নেয়ার পথে সে মারা যায় । এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।
এ বিষয়ে নিহতের পুত্র আলভী স্বজনরা জানান, জনি দীর্ঘদিন ধরে নেশা করে । মঙ্গলবার বিকালে নেশাগ্রস্ত হয়ে টাকার জন্য সে তার বোনের বাড়িতে এসে বোনের কাছে টাকা দাবী করে । বোন টাকা দিতে না চাইলে সে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে । কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে সবার চোখে মুখে দিয়েকোমর থেকে ছুরি বের করে বোনকে পেটে,বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় । পরে আহত আমেনাকে প্রথমে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করে । পরে ঢাকা নেয়ার পথে সে মারা যায়
ভৈরব পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী সোহাগ জানান, ঘাতক কালু নেশার টাকার জন্যই বোনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে ।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান,ভাই-বোনের মধ্যে টাকা-পয়সা নিয়ে দ্বন্ধে ভাই -বোনকে হত্যা করেছে । ঘটনার তদন্ত চলছে এবং হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।