শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন

সন্ত্রাসবাদ: সেভেন মার্ডার

সন্ত্রাসবাদ: সেভেন মার্ডার

চুয়াত্তরে সরকারী দলের লেজুরবৃত্তিক ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপদলীয় কোন্দলে সাতজন নেতাকর্মী নিহত হওয়ায়, সকলের টনক নড়ে ওঠে। সবাই ভীত-আতঙ্কিত-বিস্মিত হয়ে যায়। কারণ এক হৃদয় বিদারক হত্যাকান্ড ঘটেছিল- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলের টিভি কক্ষের বারান্দায়। ছাত্রলীগের এই উপদলীয় কোন্দলে; সূর্যসেন হলের ছাত্রলীগ নেতা কোহিনুরসহ সাতজনকে মুখশধারী হত্যাকারীরা মহসিন হলে এনে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে। এই প্রসঙ্গে সে সময়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা, বর্তমানে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অতীত স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন- আমি তখন ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলাম। ঘটনার সময় আমি হলের ওয়েটিং রুমে ছিলাম। পরিস্থিতি তখন বিপজ্জনক, এই বিষয়টি আঁচ করতে পেরে, ছয় তলার একটি রুমে গিয়ে আশ্রয় নেই। এবং জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি, বারান্দাটা রক্তস্রোতে ভেসে যাচ্ছে। ঘটনাটি ছিল ছাত্রলীগের উপদলীয় কোন্দলের বহি:প্রকাশ। অত:পর বিষয়টি বঙ্গবন্ধুর নজরে আসে। এবং বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ঘটনার নেপথ্যের নায়ক তৎকালীন সময়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম প্রধানকে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়। এবং জেলে পাঠানোর পর বিচারে প্রধানের দীর্ঘমেয়াদী সাজা হয়। কিন্তু পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনের পর জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকার শফিউল আলম প্রধানকে রাজনৈতিকভাবে মুক্তি প্রদান করে। জেল থেকে বেরিয়ে প্রধান ‘জাগপা’নামক একটি নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল গঠন করে ও আওয়ামীলীগ বিরোধী প্রচারণা চালায়।

শাফায়েত জামিল রাজীব
সম্পাদক
একুশে টাইমস্

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana