আমার আব্বা আমার এক আত্মীয়ের সঙ্গে শেয়ারে একটি বেকারি দেন। ব্যবসার মূলধন উভয়ে সমান হারে আদায় করার কথা হয়। কিন্তু ওই আত্মীয়ের কাছে দোকানের সিকিউরিটি স্বরূপ প্রদেয় অর্থ ছিল না। তাই তিনি আব্বার কাছ থেকে এই টাকা ঋণ নেন। পাঁচ বছর পর তিনি এ ঋণ শোধ করেন। প্রশ্ন হলো, আব্বার ওপর কি এ টাকার ওপর বিগত পাঁচ বছরের জাকাত ফরজ হবে? উল্লেখ্য, সে আত্মীয় বিগত পাঁচ বছরে প্রতি বছর এ টাকার জাকাত দিয়েছেন। তার ধারণা ছিল, এ টাকা যেহেতু তার পক্ষ থেকে সিকিউরিটি হিসেবে জমা ছিল তাই তার জাকাত দিতে হবে।
উত্তর : প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার বাবা যেহেতু ওই টাকা ধার দিয়েছেন এবং টাকাগুলো তার হাতে না থাকলেও তিনি এই টাকার মালিক, তাই ওই টাকার বিগত পাঁচ বছরের জাকাত আপনার বাবার ওপরই ফরজ ছিল। সুতরাং টাকাগুলো উসুল হয়ে যাওয়ায় এখন অন্যান্য সম্পদের জাকাতের সঙ্গে ওই টাকার বিগত পাঁচ বছরের জাকাত আপনার বাবাকেই আদায় করতে হবে। আর আপনার আত্মীয় যেহেতু টাকাগুলোর মালিক ছিল না, তাই তার ওপর জাকাত দেওয়া ফরজ ছিল না। সুতরাং তার নিজের ওপর ফরজ ভেবে আদায় করা সহিহ হয়নি। আর এই আদায়কৃত জাকাত আপনার বাবার পক্ষ থেকেও ধরা যাবে না। কেননা তিনি আপনার বাবাকে জানিয়ে তার অনুমতি নিয়ে দেননি। ওই দানকৃত টাকা দাতার পক্ষ থেকেই নফল সদকা হিসেবে গণ্য হবে। (কিতাবুল আসল : ২/৯৭; আলমুহিতুল বুরহানী : ৩/২৪৪; রদ্দুল মুহতার : ২/২৬৯)