সোমবার, ২৩ Jun ২০২৫, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
কিশোরগঞ্জে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়নসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় বিকেল ৩টার দিকে শহরের স্টেশন রোডে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।
জানা গেছে, দীর্ঘ ১৮ বছর পর কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা ইটনা ছাত্রলীগের সম্মেলন হতে যাচ্ছে আজ। ইটনায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অডিটরিয়ামে আয়োজিত এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের আগমনকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষ জড়ো হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়েজ উমানের নেতৃত্বে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় একটি পক্ষ অবস্থান নেয়। অন্যদিকে সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়নের নেতৃত্বে আরেকটি গ্রুপ জড়ো হয়।
এ সময় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নেতারা ওই এলাকায় আসার আগেই দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান নয়ন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম স্বপন ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী আরিয়ান আহমেদ বিনয়সহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
পরে এ ঘটনায় বিকেল ৩টার দিকে শহরের স্টেশন রোডে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে নেতাকর্মীরা।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম স্বপন জানান, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নেতাদের ফুল দিতে গিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের লোকজন হামলার শিকার হয়েছি। এ হামলায় আমি ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান নয়নসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন বলেন, কখন কোথায় এ ঘটনা ঘটেছে এ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। আমি সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে প্রোগ্রামে ব্যস্ত রয়েছি। যারা এই অভিযোগ করেছে তারা মিথ্যা এবং বানোয়াট কথা বলেছে। এমন কোনো ঘটনার সম্পর্কে আমার জানা নেই।