বৃহস্পতিবার, ১৯ Jun ২০২৫, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন
মোঃ মাইন উদ্দিন, কুলিয়ারচর প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পরকীয়া প্রেমের জেরে রুবিনা আক্তার (২৫) নামের ভাবীকে গলা কেটে হ’ত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে সোহরাব মিয়া (২৫) নামের দেবরের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৩ জুলাই) দিবাগত ভোর রাতের দিকে উপজেলার উচমানপুর ইউনিয়নের বড়খারচর গ্রামের মোঃ লাল মিয়ার পুত্র সাজিব মিয়ার মুরগীর ফার্মের ভিতরে এই হ’ত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত রুবিনা আক্তার, রামদী ইউনিয়নের মধ্য তারাকান্দি গ্রামের সেলিম মিয়ার মেয়ে এবং একই গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী গেলাপ মিয়ার স্ত্রী। প্রবাসী গোলাপ মিয়াও একই গ্রামের আছির উদ্দিনের পুত্র আর দেবর সোহরাব হলেন, প্রবাসী স্বামী গোলাপ মিয়ার ছোট ভাই। নিহতের স্বজন ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্বামী গোলাপ মিয়া প্রবাসে থাকার সুবাদে স্ত্রী রুবিনা আক্তার এবং দেবর সোহরার এর মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। ফলে স্ত্রী রুবিনার সাথে প্রবাসী স্বামী গোলাপ এর সম্পর্কের অবনতি দেখা দেয়। এক পর্যায়ে স্বামী রুবিনার ভরন পোষণ বন্ধু করে দেয়। এতে স্বামী-স্ত্রীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। পরে রুবিনা আক্তার তার নানার বাড়ি কুলিয়ারচর পৌর শহরের বরখারচরে চলে এসে জীবীকা নির্বাহের জন্য সজিব মিয়ার মুরগীর ফার্মে কাজ নেন। অন্যদিকে রুবিনা আক্তার নানার বাড়িতে চলে আসার পর পরকীয়া প্রেমিক দেবর সোহরাব এর সাথে মনমালিন্য দেখা দেয়। মনমালিন্যের এক পর্যায়ে সোহরাব এর মোবাইল নাম্বার ব্লক করে দেয় রুবিনা আক্তার। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ঘটনার রাতে রুবিনা আক্তারকে হ’ত্যার উদ্দেশ্যে দেবর সোহরাব মিয়া ফার্মে প্রবেশ করে রুবিনা আক্তার এর গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার মাঝখানে আঘাত করলে এই শব্দ রুবিনা আক্তার এর সাথে থাকা তার ঘুমন্ত ছেলে মাহমুদুল হাসান তাসকিন (৭) ঘুম থেকে উঠে তার মাকে র’ক্তা’ক্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার করতে চাইলে সোহরাব ছেলেকে মেরে ফেলবে বলে ভয় দেখালে সে আর ভয়ে ডাক চিৎকার করে নাই। পরে রুবিনা আক্তার এর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় লাইলনের রশি পেচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে উক্ত মুরগির ফার্মের ভিতরে চৌকির উপরে লা’শ ফেলে চলে যায়। এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লা’শের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লা’শ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এণ্ড হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।