এক রাতে এক ইঁদুর পথের ধারে ঘুরে ঘুরে তেলাপোকা ধরে মড়মড় করে খাচ্ছিল। পাশের রাস্তায় এক হাতি পায়চারি করে হাওয়া খাচ্ছিল। ইঁদুরের তেলাপোকা খাওয়ার মড়মড় শব্দ শুনে হাতি জোর গলায় বলে, কে রে? গভীর রাতে এমন শব্দ করিস! ইঁদুর হাতির শব্দ শুনে আতঙ্কিত দৌড়ে রাস্তা পার হতেই হাতির পায়ের নিচে পড়ে যায়! হাতিটি বেশ বয়স্ক ছিল আর ইঁদুরের শরীর তো তুলতুলে ও পিচ্ছিল। ইঁদুরটি হাতির পায়ের নিচে পড়তেই হাতি পিছলে দুরুম করে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়! যেখানে হাতিটি পড়ে যায় সেখানে লাখ লাখ পিপীলিকার এক জমজমাট ভোজের অনুষ্ঠান ছিল। সব পিপীলিকা সেখানে উৎসব করে মরা মুরগির মাংস খাচ্ছিল। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, হাতিটি পিপীলিকাদের ভোজসভার ওপরেই পড়ে।
হাতির বিশালাকৃতির দেহের নিচে পড়ে বেশুমার পিপীলিকা হতাহত হয়! যেসব পিপীলিকা হাতিটির পাশে মানে একেবারে কিনারে ছিল তারা মারাত্মকভাবে আহত হয়। আর বাকি পিপীলিকা মরে মাটিতে মিশে যায়। যে সব পিপীলিকা প্রাণে বেঁচে যায় তারা একটি তদন্ত কমিটি করে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনের জন্য।
যেমন সিদ্ধান্ত তেমন কাজ। বিড়াল দুধেলকে আহ্বায়ক ও বেজি আর খরগোশকে সদস্য করে তিন সদস্যের এক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।