মোবাইল ব্যাংকিংসহ ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে অর্থ পাচার বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায়-এর এমডি ও সিইওদের সঙ্গে বৈঠকে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মো. মাসুদ বিশ^াস ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট ও বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এতে অংশ নেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সভায় অবৈধ হুন্ডি, অনলাইন গ্যাম্বলিং, বেটিং, ফরেক্স ও ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিএফআইইউ-প্রধান।
বৈঠকে জানানো হয়, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সংস্থা হিসেবে বিএফআইইউ হুন্ডি তথা অনলাইন গ্যাম্বলিং, গেমিং, বেটিং, ফরেক্স এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার রোধসহ সব ধরনের অর্থ পাচার রোধে দেশের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। এসব অপরাধ প্রতিরোধে বিএফআইইউ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে বিজ্ঞপ্তি ও বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। এ ছাড়াও বিএফআইইউ প্রতিনিয়ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ক ইন্টেলিজেন্স সরবরাহ করে যাচ্ছে এবং এ-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট, অ্যাপ, ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব লিংক চিহ্নিতকরণপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন প্রয়োগকারী ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে পাঠাচ্ছে।
সম্প্রতি ইলেকট্রনিক ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে অনলাইন বেটিং ও গ্যাম্বলিং-সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।