মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: মিঠামইনে অভিনব কায়দায় চাঞ্চল্যকর নৌ-ডাকাতির ঘটনায় সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ৩ দুধর্ষ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে মিঠামইন থানা পুলিশ।
বুধবার, ২৩ অগাস্ট রাতে তাদেরকে হবিগঞ্জ জেলার আজমীরিগঞ্জ এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে আটক করে পুলিশ।এ সময় তাদের কাছে থাকা ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ইঞ্জিত চালিত নৌকা,একটি মোবাইল, রামদা,চাকু,রশি,নগদ ১৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটক সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন হবিগঞ্জ জেলার আজমিরিগঞ্জ উপজেলার কামালপুর গ্রামের ধনু মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন (৩৭),একই এলাকার আজিদ মিয়ার ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক (২২) ও একই এলাকার মধু মিয়ার ছেলে কবির হোসেন ওরফে কোব্বাত (৩২)।
বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট সকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আল আমিন হোসাইন।
তিনি আরো জানান,গত ১১ অগাস্ট ৩ জন হাঁস ব্যবসায়ী কিশোরগঞ্জের মিঠামইন হাওরে হাঁস কিনতে আসেন। হাওরের অলওয়েদার রোডের মিঠামইন জিরো পয়েন্টে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির (সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য) সাথে হাঁস ব্যবসায়ীদের কথা হয়।
ওই ব্যক্তি (সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য) হাঁস বিক্রয়ের কথা বলে তাদেরকে মিঠামইনের ঢাকী ব্রিজে নিয়ে যায়। সেখানে ব্রিজের নিচে থাকা একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় উঠিয়ে তাদেরকে হাওরের পূর্ব দিকে নিয়ে যেতে থাকে।১০ মিনিট সময়ে কিছুদূর যাওয়ার পর নৌকার ছৈয়ের ভিতরে পাটাতনের নিচে লুকিয়ে থাকা ৫/৬ জন ডাকাত পাটাতন থেকে বেরিয়ে এসে তাদের হাতে থাকা রামদা,ছুরি,চাকু,চাপাতি দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে নৌকায় থাকা রশি ও গামছা দিয়ে তাদের হাত পা মুখ বেঁধে এলোপাথাড়ি চর-থাপ্পর,কিল-ঘুষি মেরে হাঁস কেনার জন্য পাইকার দের সঙ্গে থাকা ১ লাখ ৭ হাজার টাকা ও ৫ টি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ডাকাতরা হাঁস পাইকারদেরকে খুন জখমের ভয় দেখিয়ে তাদের আত্বীয় স্বজনদের পাঠানো আরো ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বিভিন্ন বিকাশ নাম্বারে সেন্ড মানি/ক্যাশ আউট করে ছিনিয়ে নেয়। ডাকাতদল সর্বমোট ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকার মালামাল লুন্ঠণ করে নেয়।পরবর্তীতে ডাকাতরা ডাকাতি শেষে ওইদিনই রাত ৮ টায় হাঁস পাইকারদের হাত পায়ের বাঁধন খুলে মিঠামইন উপজেলার কাঠখাল ইউনিয়নের ছত্রিশ নামক জায়গায় হাওরের পানির মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়।এ ঘটনায় মিঠামইন থানায় বুধবার ২৩ অগাস্ট মামলা দায়ের করা হলে অভিযানে নামে পুলিশ।
সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এ সময় প্রেসব্রিফিংয়ে অষ্টগ্রাম সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার সামুয়েল সাংমা,মিঠামইন থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাহাবুদ্দিনসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।