সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন

কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদে এবার মিলল রেকর্ড ২৩ বস্তা টাকা

কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদে এবার মিলল রেকর্ড ২৩ বস্তা টাকা

স্টাফ রিপোর্টার:
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে প্রায় ৩মাস ১৩দিন পর ৮টি লোহার দানবাক্সে মিলল ২৩ বস্তা টাকা। চলছে গণনার কাজ। এছাড়াও রয়েছে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার। এর আগে গত ৬ মে পাওয়া গিয়েছিল ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার। শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান দানবাক্স খোলা হয়েছে। দান দানবাক্সগুলো খুলে ২৩টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় আনা হয়েছে গণনার জন্য।
টাকা গণনা ও পর্যবেক্ষণে রূপালী ব্যাংকের এজিএম রফিকুল ইসলাম এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিপুল পরিমাণ টাকা মসজিদের দোতলার মেঝেতে দুই সারিতে লম্বা করে ফেলে ছাত্র-শিক্ষক তিন সারিতে বসে মুদ্রামান অনুযায়ী পৃথক করছেন। টাকা গণনার মেশিনের সাহায্যে টাকা গণনা করে বান্ডিল বেধে মুদ্রার মান অনুযায়ী পৃথক করে রাখা হয়েছে।
মসজিদের সভাপতি জেলা প্রশাসক মো: আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, বর্তমান মসজিদটি ভেঙে এখানে ৬তলা ভবনের আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টি নন্দন মসজিদ কমপ্লেক্স করার জন্য আমরা ইতিমধ্যে কাজ হাতে নিয়েছি। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে এক কাজ হাতে নিব।
জনশ্রুতি রয়েছে, বহু বছর আগে এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝপথে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। ওই পাগল সাধকের মৃত্যুর পর তাঁর উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী। কালক্রমে নাম হয়ে যায় পাগলা মসজিদ।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana