বৃহস্পতিবার, ১৯ Jun ২০২৫, ১১:২২ পূর্বাহ্ন

জীবনযাপনে পরামর্শের গুরুত্ব ও উপকার

জীবনযাপনে পরামর্শের গুরুত্ব ও উপকার

আল্লাহ তায়ালা মানুষকে বিভিন্ন প্রকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। মানুষের স্বভাবকে অভিন্ন করে সৃষ্টি করেননি। একেক বিষয়ে একেকজন পারদর্শী। সর্ববিষয়ে একজন পারদর্শী হবেনÑএমন মানুষ নেই। এ জন্য আমাদের কোনো কাজ করার প্রয়োজন হলে সে ব্যাপারে অভিজ্ঞদের শরণাপন্ন হতে হয়। এর মাধ্যমে আমাদের সামনে উত্তম পথ উন্মোচিত হয়। কখনো আমরা এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে আমাদের করণীয় কী, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকি, কোনটা রেখে কোনটা গ্রহণ করব।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমাদের জন্য বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে ‘পরামর্শ’। আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রিয় নবীকে পরামর্শের আদেশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আপনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। অতঃপর কোনো বিষয়ে মনস্থির হলে আল্লাহর ওপর নির্ভর করুন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওয়াক্কুলকারীদের ভালোবাসেন’ (সুরা আলে ইমরান : ১৫৯)। পরামর্শের এত অত্যধিক গুরুত্বের কারণে প্রিয় নবী (সা.) সবসময় পরামর্শ করতেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে সাহাবায়ে কেরামের সঙ্গে বেশি পরামর্শকারী অন্য কাউকে দেখিনি।’ (ইবনে হিব্বান : ৪৮৭২)

ব্যক্তিগত বিষয়ে পরামর্শ : আমরা ব্যক্তিগত কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগী, সিদ্ধান্ত গ্রহণে হিমশিম খেতে হয়। তখন সে বিষয়ে পরামর্শ করলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়। সে জন্য রাসুল (সা.) ব্যক্তিগত জীবনেও পরামর্শ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন। ফাতেমা বিনতে কাইস (রা.) বলেন, ‘একদা আমি নবী (সা.)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে নিবেদন করলাম, মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফয়ান (রা.) ও আবু জাহম (রা.) আমাকে বিয়ের পয়গাম পাঠিয়েছেন, এখন আমি কী করব?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আবু জাহম এমন লোক যে তার কাঁধ থেকে লাঠি নামায় না। আর মুয়াবিয়া তো নিঃসম্বল, গরিব মানুষ। বরং তুমি ওসামা ইবনে জায়েদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হও। কিন্তু আমি তাকে পছন্দ করলাম না।’ পরে তিনি আবার বললেন, ‘তুমি ওসামাকে বিয়ে করো। কিন্তু আমি তাকে পছন্দ করলাম না।’ তিনি আবার বললেন, ‘তুমি ওসামাকে বিয়ে করো। তখন আমি তার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলাম। আল্লাহ এতে আমাকে বিরাট কল্যাণ দান করলেন। আর আমি ঈর্ষার পাত্রে পরিণত হলাম।’ (মুসলিম : ৩৫৮৯)

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana