বুধবার, ২৫ Jun ২০২৫, ০৩:১০ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় দুই ভাইবোনকে হত্যার ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। শুক্রবার, ১৪ জুলাই রাতে হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু এ তথ্য জানান। এ মামলায় ফরিদা ইয়াসমিন নামের (৪১) এক নারী গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি মামলার এজহার নামীয় আসামি।
জানা গেছে, নিহতদের বাবা শামসুল ইসলাম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে হোসেনপুর থানায় এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন-উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের উত্তর কুড়িমারা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আবদুল কাদির (৪৪), মো. ইমরান (২৬), এমরান মিয়া (২৩), আরমান মিয়া (২২), মুসলিম (৫০), মাসুম মিয়া (২২) ও ফরিদা ইয়াসমিন (৪১)।
স্থানীয় একাধিক সূত্র ও মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, গত ১২ জুলাই বিকেলে নিজ জমিতে গাছের চারা লাগাতে যান বাদী শামসুল ইসলাম। এ সময় তার ছোট ভাই আবদুল কাদির ও দুই ভাতিজা এমরান ও আরমান জমিতে এসে লাগানো চারা তুলে ফেলেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে শামসুল ইসলামকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তারা। পরের দিন বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে আসামিরা চায়নিজ কুড়াল, দা, শাবল, লোহার তৈরি খুনতি, ছুরি, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে বাড়ির সামনে এসে বাদী শামসুল ইসলামকে ডাকাডাকি ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। পরে শামসুল ইসলাম, বড় ছেলে মাহমুদুল ইসলাম আলমগীর, স্ত্রী শাহিদা, মেয়ে নাদিরা, মেজো ছেলে হুমায়ন কবির ও ছোট ছেলে সালমান ঘর থেকে বের হয়ে তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করেন। এসময় আসামি আবদুল কাদির ভাতিজা আলমগীরের ঘাড়ে লোহার খুনতি দিয়ে আঘাত করেন।
এরপর আলমগীর মাটিতে পরে গেলে চাচাতো ভাই ইমরান পিঠে শাবল দিয়ে আঘাত করেন। আলমগীরকে বাঁচাতে তার মা ও ভাইবোনেরা এগিয়ে আসলে আসামি মুসলিম নাদিরার পেটে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাস্থলে আলমগীর মারা যান।
আসামিদের হামলায় আলমগীরের মা, ভাই ও বোন গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত শাহিদা, ভাই হুমায়ুন কবির, সালমান ও বোন নাদিরাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন।
পরে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বোন নাদিরার মৃত্যু হয়। অন্যান্য আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।