শুক্রবার, ২০ Jun ২০২৫, ০৩:০২ অপরাহ্ন
দেশে প্রতিবছর ঈদুল আজহায় বিপুলসংখ্যক পশু কুরবানি হওয়ায় ট্যানারি শিল্পের প্রধান কাঁচামাল চামড়া দেশেই পাওয়া যায়। দেশীয় পশুতেই এখন পূরণ হচ্ছে কুরবানির চাহিদা। এটি এ শিল্পের জন্য একটি প্লাস পয়েন্ট সন্দেহ নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো, এ চামড়ার একটি অংশ পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার হয়ে যায়। এবারও এমন আশঙ্কা করছেন ট্যানারি শিল্পের উদ্যোক্তারা।
জানা গেছে, চামড়া পাচার হতে পারে এমন ১৯টি সীমান্ত রুট চিহ্নিত করে এ তালিকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি বৈঠকও হয়েছে। চামড়া পাচার রোধে ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্ত রুটগুলোয় নিয়মিত নজরদারি প্রয়োজন অবশ্যই। পাশাপাশি আরও একটি বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করি আমরা। সেটি হলো কুরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। অতীতে ট্যানারি ও আড়তদারদের কারসাজিতে সরকারের বেঁধে দেওয়া চামড়ার মূল্য কার্যকর হয়নি। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কমে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। গত কয়েক বছর ধরে লক্ষ করা যাচ্ছে, ন্যায্যমূল্য না পেয়ে চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলা, নদী-নালা বা রাস্তায় ফেলে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। চামড়া ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত অর্থ না পেলে চামড়া পাচার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কার বিষয়টিও মাথায় রাখা প্রয়োজন সংশ্লিষ্টদের। অতীতের মতো এবার যাতে চামড়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কোনোরকম কারসাজি করতে না পারে সেজন্য কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।