রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ১২:৪৭ অপরাহ্ন
মোঃ মাইন উদ্দিন, কুলিয়ারচর প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সাদিয়া (২০) নামে এক গৃহবধূকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের বড়চারা কুড়েরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এতে ওই গৃহবধূর শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে বলে জানা যায়। অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ সাদিয়া বড়চারা কুড়েরপাড় গ্রামের আফজাল মিয়ার স্ত্রী। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের বড়চারা গ্রামের মঞ্জিল মিয়ার ছেলে আফজাল হোসেনের সাথে প্রায় ৬ থেকে ৭ মাস পূর্বে একই উপজেলার তাতাঁরকান্দি মহল্লার খোকা মিয়ার কন্যা সাদিয়া (২০) এর বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই তাকে বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকে তার শ্বশুর বাড়ি সংলগ্ন নুর ইসলামের ছেলে বায়েজিদ (২৩)। এছাড়া সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে তাকে।
একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে এ ঘটনা তার শ্বশুরকে জানান ওই গৃহবধূ। পররে একদিন অভিযুক্ত বায়েজিদ বাড়ির আঙিনায় এসে কল দিতে থাকে সাদিয়াকে। বিষয়টি সাদিয়ার শ্বশুর টের পেয়ে বায়েজিদকে ধরে কিছু উত্তমমাধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেয়। এরপর থেকে বায়েজিদ বিভিন্ন ভাবে সাদিয়াকে হুমকি দিতে থাকে। সর্বশেষ গত ২২ জানুয়ারি রোববার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে বাহির থেকে ঘরে ফেরার সময় পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা বায়েজিদ ও তার এক সহযোগী পেছন থেকে চেপে ধরে সাদিয়ার শরীরে পেট্রোল জাতীয় তরল কিছু ঢেলে পরে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ সময় সাদিয়ার চিৎকায়ে বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তার শরীরের আগুন নিয়ন্ত্রনে এনে অগ্নিদগ্ধ সাদিয়াকে উদ্ধার করে রাতেই ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ওই গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দাখিল করেননি। ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে সাথে সাথে ঘটনা স্থলে গিয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করি। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত বায়েজিদের পিতা নুর ইসলামকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।