বৃহস্পতিবার, ২৬ Jun ২০২৫, ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিএনপি-পুলিশ ও আ’লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ প্রায় শতাধিক আহত হয়েছে। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষ শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে পৌর সদরের সৈয়দগাঁও চৌরাস্তা এলাকা থেকে শুরু হয়। টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে পুলিশ। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোস্তাক সরকার।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সৈয়গাঁও থেকে উপজেলা সদরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ বাঁধা দিলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিএনপি নেতা-কর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে পুলিশ সদস্য সহ প্রায় শতাধিক লোক আহত হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সংবাদ সারাবেলাকে বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন। সমাবেশ বানচাল করতে পুলিশ হামলা চালায়।’ পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করায় পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।’
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাক সরকার জানান, বিএনপির কর্মসূচি থেকে পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীরা। এতে পুলিশের ৫ থেকে ৬জন সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোড়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম আকন্দ ও নারান্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. শফিকুল ইসলাম (ভিপি শফিক) বলেন, বিএনপির আগুন সন্ত্রাসকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীও আহত হয়েছেন।