মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন

কিশোরগঞ্জের হাওরের পানি বাড়ছে, বন্যার্তদের মধ্যে প্রশাসনের ত্রাণ বিতরণ

কিশোরগঞ্জের হাওরের পানি বাড়ছে, বন্যার্তদের মধ্যে প্রশাসনের ত্রাণ বিতরণ

আমিনুল হক সাদী,কিশোরগঞ্জঃ কিশোরগঞ্জের হাওরের পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । এছাড়্ওা উজানের বিল ঝিল ও নীচু এলাকাতেও পানি প্রবেশ করছে বলে জানা গেছে। পানি বাড়ার খবর পেয়ে জেলার হাওর অধ্যুষিত ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও করিমগঞ্জ উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম। তিনি জানান, হাওরের উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন এবং বন্যার্তদের উদ্ধারের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক নৌযান ও শুকনো খাবারের প্যাকেট প্রস্তুত করে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়াও বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া অসহায় মানুষদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন। ইতোমধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলার বন্যার্তদের জন্য ১৪০ টন জিআর চাল, আড়াই লক্ষ টাকা জিআর ক্যাশ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
জানা গেছে, জেলার হাওরাঞ্চলে একের পর এক রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার ও বাড়িঘরে প্রবেশ করেছে পানি। সব মিলিয়ে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। কিশোরগঞ্জের হাওরে ধনু, ঘোড়াউত্রাসহ অন্যান্য নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নদীগুলোর পানি প্রায় ৮৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, আগামী তিন দিন আবহাওয়ার পূর্বাভাসে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এদিকে ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ও আনন্দ বাজারে পানি প্রবেশ করেছে। পানিতে দোকান-পাট তলিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে জয়সিদ্ধি বাজার সংলগ্ন রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে গেছে। পানি আরও বেড়ে গেলে কেনাকাটা বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়াও পানিবন্দি মানুষ বিপাকে পড়েছেন। বানভাসিদের নিরাপদ আশ্রয় দরকার বলছেন তারা। দিন দিন যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উঁচু ভবনে থাকার ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানান, নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিন দিন আবহাওয়ার পূর্বাভাসে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
কিশোরগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর অধ্যুষিত ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও করিমগঞ্জ উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন এবং বন্যার্তদের উদ্ধারের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক নৌযান ও শুকনো খাবারের প্যাকেট প্রস্তুত করে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়াও বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া অসহায় মানুষদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন। তার সাথে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দ।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana