রমজানে খতম তারাবির মর্যাদা অপরিসীম। খতম তারাবি মূলত হাফেজে কোরআনরাই পড়িয়ে থাকেন। তারাবিতে ৩০ পারা কোরআন পড়া হয় মুখস্থ। ৩০ পারা কোরআন অন্তরে ধারণ করা নিঃসন্দেহে আল্লাহর বিশেষ রহমত। আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ ছাড়া এই নেয়ামত অর্জন সম্ভব নয়।
পৃথিবীতে অন্য কোনো ধর্মগ্রন্থ কেউ মুখস্থ করতে সক্ষম হয়নি এবং হবেও না। কিন্তু অসংখ্য মুসলিমের অন্তরে পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন বিদ্যমান রয়েছে। এই হাফেজে কোরআনের বিশেষ সম্মান রয়েছে মহান আল্লাহর দরবারে।
রাসুল (সা.) বলেন, জান্নাতে একটি নদী রয়েছে যার নাম রাইয়ান। তার উপর মারজানের একটি শহর রয়েছে। যা ৭০ হাজার স্বর্ণ ও রৌপ্য দ্বারা প্রস্তুত। তা একমাত্র কোরআনে হাফেজদের জন্য নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে। (কানযুল উম্মাল)। হাফেজরা আল্লাহর দরবারে ধনী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। হজরত আবু জর গিফারি (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘সবচেয়ে ধনী হলো হাফেজে কোরআন, যার হৃদয়ে মহান আল্লাহ কোরআনুল কারিম সংরক্ষণ করেছেন। (কানযুল উম্মাল)। হাফেজে কোরআন পরিবারের লোকদের মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করতে পারবে। হজরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করবে এবং হেফজ করবে, অতঃপর হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম জানবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার পরিবারের দশজন লোকের মুক্তির সুপারিশ কবুল করবেন যাদের ওপর জাহান্নাম অবধারিত ছিল। (তিরমিজি)
পবিত্র কোরআনের ত্রিশটি পাড়া মুখস্থ করে মহান আল্লাহর বিশেষ একটি বড় নেয়ামত লাভ করেছেন সম্মানিত কোরআনে হাফেজগণ। এ জন্য তাদেরকেও পবিত্র কোরআনের মতো সম্মান করতে হবে। কেননা তারা মহান আল্লাহর প্রিয় পাত্র।