শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের চিকিৎসা সেবার ক্লিনিকে সেবার সাথে রোগীদের টাকা,মোবাইল, চেকবই ও স্বর্নালাংকার চুরির ঘটনায় প্রতিকার না পেয়ে গতকাল দুপুরে কিশোরগঞ্জ প্রিন্ট মিডিয়া এসোসিয়েশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী ও তার পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহানা বেগম (৩৮), অভিযোগে বলেন, গত ১৭/১২/২০২১ ইং তারিখে তিনি অসুস্থ হয়ে কিশোরগঞ্জস্হ হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। এবং ২৩/১২/২০২১ ইং সকাল ৭.১৮ মিঃ এই ক্লিনিকের দায়িত্বরত নার্স রিয়া (২২) আমাকে ইনজেকশন দেওয়ার জন্য ডাক দেয় । আমার জ্যা মিনা আক্তার দরজা খুলে দিয়ে নার্স রিয়াকে দরজায় রেখে ওয়াশ রুমে চলে যায়। তখন আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। কিছু সময় পর রিয়া এসে আমাকে ডেকে তুলে বলে, আপনার মোবাইল ও ব্যাগ চুরি হয়ে গেছে। আমি খুঁজে আমার ব্যাগ ও মোবাইল না পেয়ে বিষয়টি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও আমার চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তার আতাউর রহমানকে জানিয়েও কোন ফল হয়নি। পরে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি জি.ডি করি, যাহার নং-১০৭৭ এবং অভিযোগ দায়ের করি। জি.ডি’র প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ মিঠামইন থেকে এস.আই লিটন গত ০৩/০৩/২০২২ ইং তারিখে আমার মোবাইলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় সেই সাথে আমি জানতে পারি এই ক্লিনিকের নার্স রিয়ার বাড়ীও মিঠামইন। এমনকি ক্লিনিক মালিক পক্ষের একজনের বাড়ীও হাওর এলাকায় । আমি খোঁজ নিয়ে ও ক্লিনিকের সি.সি ক্যামেরার ফুটেজে জানতে পারি ক্লিনিকে ঘটনার দিন সকাল ৭.১৫ মিঃ মূল গেইটটি খোলা হয়নি। ফলে ৭.১৮ মিঃ ব্যাগ ও মোবাইল চুরি করতে বাহিরের লোক আসা সম্ভব নয়। উক্ত ঘটনায় নার্স ও দায়িত্বরত লোকজনই জড়িত বলে আমি মনে করি। উল্লেখ্য যে, আমার ব্যাগে নগদ ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা, ০৪ ভরি স্বর্ণ ও ইসলামী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার একটি চেক বই, যাহার একাউন্ট নং – ১৮১১৮, ইসলামী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার একটি এটিএম কার্ড এবং আমার স্বামীর স্মার্ট কার্ডও ছিলো। বিষয়টি নিয়ে আমি ও আমার আত্নীয়রা বার বার ক্লিনিক মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেও কোন সুরাহা হয়নি। বরং মালিক পক্ষের মিঠু/ লিটু নামের ব্যক্তি আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। সেই সাথে থানায় অভিযোগ করার পর ০১৭১৮-৫৯১২২৩ নম্বর থেকে আতিক নামে পরিচয় দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বেশ কয়েক বার চাপ সৃষ্টি করে । আমি মোবাইল নম্বরটি আমার ইমুতে সেভ করে জানতে পারি নম্বরটি মামুন নামের একজনের উক্ত ঘটনায় আমি নগদ টাকাসহ ৩ লাখ টাকার মালামাল চুরির সাথে জড়িত এসব নার্স,কর্তৃপক্কের বিরুদ্ধে তদন্ত পৃর্বক ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রসাশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেন সেই সাথে ক্লিনিকের সেবার মান ও কাগজপএ সঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।