শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন
একুশে ডেস্ক:
দায়িত্বে অবহেলা বা নৈতিক পদস্খলন অমার্জনীয় অপরাধ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের সেবা করাই পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের পবিত্র দায়িত্ব। দায়িত্ব পালনে কোনো ধরনের অনুরাগ বা বিরাগের সুযোগ নেই। পুলিশের সদস্যরা মানবিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন এবং জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আগামীকাল শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস।
পুলিশ বাহিনীর সব সদস্যকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণীতে সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের সদস্যরা পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এর ফলে সূচিত হয়েছিল মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পুলিশ বাহিনীর প্রায় ১৪ হাজার বাঙালি পুলিশ সদস্য কর্মস্থল ত্যাগ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে এক হাজার ১০০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্য শহীদ হন।’
আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ পুলিশকে আধুনিক ও জনবান্ধব করে গড়ে তুলতে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা ধাপে ধাপে বাংলাদেশ পুলিশের জনবল বৃদ্ধি করেছি। থানা, ফাঁড়ি, তদন্ত কেন্দ্র, ব্যারাক, আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দসহ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা সেবার লক্ষ্যে ১০ তলা বিল্ডিং করে রাজারবাগে পুলিশ হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন।’
প্রতি বিভাগে একটা করে পুলিশ হাসপাতাল নির্মাণ করার উদ্যোগের কথা জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আকাশ পথে সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে পুলিশের গতিশীলতা ত্রিমাত্রিক পর্যায়ে উন্নীতকরণের জন্য ইতোমধ্যে রাশিয়া থেকে দুটি হেলিকপ্টার কেনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূলে আমরা ইতোমধ্যে পুলিশে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট এবং কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট গঠন করেছি। নতুন পদ সৃষ্টির মাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রাপ্তির জটিলতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি। পুলিশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ইতোমধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।’